![]() |
ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ |
প্রয়োজনে রক্তচাপ মাপুন নিজে নিজে, বাড়িতেই। কিন্তু সঠিক বা সাধারণ নিয়মে। প্রতিদিন মাপার প্রয়োজন নেই। শান্ত হয়ে বসুন। কমপক্ষে পাঁচ মিনিট বিশ্রাম নিন। কফি বা ধূমপানের অভ্যাস থাকলে রক্তচাপ মাপার আধঘণ্টা আগে ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। সোজা হয়ে বসতে হবে মেঝেতে পা সোজা করে রেখে। পিঠ ও হাত টেবিলের ওপর রাখতে হবে-হাত যেন হৃৎপিন্ডের সমতলে থাকে। যদি দুই হাতে দুই রকম রক্তচাপ থাকে, তবে যে হাতে বেশি রক্তচাপ, তা মাপতে হবে। মাপার আগে সঠিক সাইজ কাফ ব্যবহার করা উচিত।
রক্তচাপ-মাপক যন্ত্রটিও হতে হবে উপযুক্ত ও আধুনিক। একবার নয়। দু-তিন মিনিট ব্যবধানে কমপক্ষে দুবার মাপুন। তারপর গড় রক্তচাপ লিখে রাখুন। রক্তচাপ মাপতে গিয়ে প্রয়োজনে অন্যের সাহায্য নিন। জটিল পদ্ধতিতে নয়, সহজ নিয়মে নিজের বাড়িতেই রক্তচাপ মাপুন। যেখানে-সেখানে, ওষুধের দোকানে যাকে-তাকে দিয়ে যখন-তখন রক্তচাপ মাপা ঠিক নয়। এ বদভ্যাস থেকেও রক্তচাপ বেড়ে যাবে চিন্তায় ও অস্থিরতায়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? শুধু ওষুধ খেলেই চলবে না। কিছু বদভ্যাস ত্যাগ করুন। ভালো অভ্যাসে সচেষ্ট হোন। যেমন-ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা বন্ধ করুন একেবারে। সরাসরি রক্তচাপ না কমালেও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে। ফলে ওই রক্তচাপ কমানোর যে চিকিৎসা দেওয়া হয়, এতে ভালো ফল পাওয়া যায়।
শরীরের ওজন ঠিক রাখুন। অর্থাৎ ওজন বেড়ে গেলে ওই রক্তচাপ হওয়ার ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই সামান্য ওজন কমালেও তা উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
নিয়মিত ব্যায়ামে যেমন শরীরের ওজন ঠিক থাকে, তেমনি উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার ঝুঁকিও কমে যায়। প্রতিদিনই ঘরে হালকা কাজ করুন। ঝুঁকি কমবে। আর পাতে আলাদা লবণ খাবেন না।
পাতে আলাদা লবণ খাওয়া বন্ধ করে দিলে উচ্চ রক্তচাপও কমে যায়। রক্তচাপ বৃদ্ধির প্রবণতা কমে যায়।
আজকাল মানুষ যেমন শারীরিক চাপে থাকে, তেমনি থাকে মানসিক চাপেও। দুটোই রক্তচাপ বাড়ায়। আস্তে আস্তে উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। তাই শারীরিক ও মানসিক চাপ কমান।
বেশি করে শাকসবজি, ফল ও মাছ খান। এসব স্বাস্থ্যকর খাবার রক্তচাপ যেমন নিয়ন্ত্রণে রাখবে, তেমনি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমাবে। তাই অভ্যাসের পরিবর্তন করুন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং মাঝেমধ্যে সাধারণ নিয়মে রক্তচাপ মাপুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন