শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৭

সুন্দর জীবন গড়ার উপায়।


স্বাস্থ্যই আমাদের বড় সম্পদ। আপনার শরীর যদি সব ধরনের ব্যথা ও অস্বস্তি থেকে মুক্ত থাকে, শরীরের সব কিছু যদি পরিপূর্ণভাবে কাজ করে তাহলেই সেটাকে সুস্থ বলা চলে। শরীর যদি রোগ বা দুর্বল স্বাস্থ্য থেকে দূরে থাকে— সেটা সীমিত সময়ের জন্য নয়, সারাজীবনের জন্য, তাহলে সেটাকেও আমরা সুস্থ ও কাজের উপযোগী বলতে পারি। শারীরিক অসুস্থতা কেবল দেহকেই নয়, মনকেও প্রভাবিত করে। কারো স্বাস্থ্য যদি কাজের অনুপযোগী হয়, তাহলে সে কিছুতেই দৈনন্দিন কাজে ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারবে না। মূল্যবান সম্পদ রক্ষার জন্য যেমন যত্ন নিতে হয়, সচেতন থাকতে হয়, তেমনি শরীর নামের এ সম্পদকে রক্ষার জন্যও যত্ন নেয়া প্রয়োজন। পরিমিত খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত হাঁটাহাঁটি, সময়মতো ঘুম আপনার শরীরকে সুস্থ রাখবে। আজকে আপনি যে নিয়ম মেনে শরীরের যত্ন নেবেন, কাল তার সুফল ভোগ করবেন। সঙ্গে সঙ্গে মনকে সতেজ রাখার চেষ্টা করুন, নিজের আবেগ, ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। সবসময় ইতিবাচক বিষয় চিন্তার চর্চা করুন। ভালো ফল পাবেন। আপনি কখন বিরক্ত হন কিংবা খারাপ বোধ করেন, সেটা আপনার কাছের মানুষগুলোকে বুঝতে দিন, তারা আপনাকে ভালো থাকতে সাহায্য করবে। ক্রোধে থাকা অবস্থায় কোনো রকম সিদ্ধান্ত নেবেন না বা কোনো কাজ করবেন না। প্রচুর হাসুন। হাসার ভান করুন।

অর্থনৈতিক পরিকল্পনা:
সুন্দর একটি অর্থনৈতিক পরিকল্পনা আপনার জীবনকে পাল্টে দেবে। কী খরচ করবেন আর কী জমা করবেন সে বিষয়ে পূর্ণ ধারণা রাখুন। দেখবেন সীমিত অর্থের মধ্যেই সবকিছু হয়ে যাচ্ছে। অর্থ খরচের সুন্দর একটি পরিকল্পনা বিপদের সময় আপনার জন্য আশীর্বাদ হবে। আপনি যদি অর্থ খরচের বিষয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তাহলে দেখবেন পরের দিনগুলোয় আপনাকে অর্থ নিয়ে ভাবনায় পড়তে হচ্ছে না। সিদ্ধান্ত নিন কী পরিমাণ টাকা আপনার বিপদের সময় বা অবসরের জন্য প্রয়োজন। সেভাবে পদক্ষেপ নিন। অভিজ্ঞরা দীর্ঘ মেয়াদে সঞ্চয়কে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। বাড়তি অর্থ প্রয়োজনীয় খরচে না লাগলে সেটাকে জমা রাখুন। আপনার সন্তানকেও এটা শিক্ষা দিন।
কাজ : অধিক কাজ জীবনকে ক্লান্ত ও দুর্বল করে দিতে পারে। এর থেকে বের হওয়ার সহজ উপায় হলো নিজের কাজকে উপভোগ করুন। যা-ই করছেন আনন্দের সঙ্গে করার চেষ্টা করুন। সহজভাবে বলতে গেলে, আপনি যা করে আনন্দ পান তা-ই করার চেষ্টা করুন। যদি এমন হয়, আপনি যে কাজ পছন্দ করেন না তেমন একটা কাজ পেয়ে গেলেন, তাহলে অন্য কোনো উপায়ে সে কাজকে আনন্দময় করে তোলার চেষ্টা করুন। আপনার সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান। তারা আপনার কাজকে আনন্দময় করে তুলতে সাহায্য করবে। বাসাকে কাজের ক্ষেত্রে আর কাজকে বাড়িতে আনবেন না।
বিনোদন : বিনোদন আপনার শরীর আর মনকে প্রফুল্ল রাখবে। যেকোনো কাজে পরিপূর্ণ অংশগ্রহণ এবং প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন কাজ আর কাজের ধারণা আপনার বিনোদনকে দ্বিগুণ করে তুলবে। বিনোদন কিংবা শখের বিষয় নিয়ে মেতে থাকলে কখনোই আপনাকে অলসতা কিংবা স্থবিরতা স্পর্শ করবে না। শখের বিনোদন আপনার শরীরকে সবসময় সুস্থ আর দীপ্তিময় রাখবে।
পরিবার: 
দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর কাজ শেষে আপনার জন্য অপেক্ষায় থাকা পরিবারের লোকদের কাছে ফিরে যাওয়ার মতো আরামদায়ক আর কিছুই হতে পারে না। আধুনিক জীবনযাত্রায় ব্যস্ত সময়ের ভিড়ে নিজের কাছের মানুষকে সময় দেয়া সত্যিকার অর্থেই কঠিন।
এক্ষেত্রে সহজ উপায় হলো, রুটিন মাফিক নিজের কাজগুলো সেরে পরিবারের মানুষটির জন্য সময় বের করা। সপ্তাহের একটা দিন আপনার বাবা-মার সঙ্গে দীর্ঘ সময় পার করুন, সন্তানদের নিয়ে কোথাও খেতে যান কিংবা বাড়িতেই ভালো কিছুর আয়োজন করুন, আপনার স্ত্রীকে মধুর একান্ত একটু সময় দিন। একটি সুন্দর স্বাভাবিক পরিবার আপনার জীবনকে উন্নতির কয়েক ধাপ সামনে নিয়ে যাবে।
সামাজিক দায়িত্ববোধ : সামাজিক দায়িত্ববোধ আপনার জীবন আরো সুন্দর করে তুলবে। আপনি কলা খেয়ে খোসাটা রাস্তায় ছুড়ে মারলেন কিংবা চিপসের প্লাস্টিক প্যাকেটটি যত্রতত্র ফেললেন। এতে আপনার পরিবেশকে যে আপনিই ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। এ বিষয়ে যদি আপনার একটু দায়িত্ববোধ থাকে, তাহলে কাজটা আপনি করতে যাবেন না। আপনার দায়িত্ববোধ থেকে যদি কারো জন্য ছোট্ট একটি মহৎ কাজও করেন, তাহলেও সেটা আপনার মনকে তৃপ্ত রাখবে, নিজের ওপর আস্থা বাড়বে।
আবেগি স্বাস্থ্য:
 যারা মানসিকভাবে তৃপ্ত, তারা চিন্তাভাবনা, আবেগ-আচরণকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিকভাবে প্রয়োগ
করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

রেস্টুরেন্ট_HD