কথা বলা মানে শব্দ ব্যবহার , ভাষার প্রয়োগ । কথা বলা নিয়ে বিশ্বে অনেক কথা
প্রচলিত আছে । কেউ বলে বেশি কথা বললে হার্ট ভাল থাকে আবার কেউ বলে বেশি
কথা বলে যে সে নাকি বাচাল । আবার অনেক জ্ঞানী ব্যক্তিরা বলেন বেশি কথা বললে
ভুল বেশি হয় । আবার কম কথা বলা নিয়েও অনেক কথা আছে । কম কথা বলা নাকি ভাল
,কারও কম কথা বলা অভ্যাস আবার চালাক লোকেরা কিন্তু কম কথা বলে । গম্ভীর
প্রকৃতির মানুষরাও কম কথা বলে । অফিসের বস
পদবীর ব্যক্তিরা কম কথা বলে আবার পিয়ন চাপরাসিরা নাকি বেশি কথা বলে । কেউ
বলেন খোলা দিল ওয়ালা মানুষরা বেশি কথা বলেন আর প্যাচ ওয়ালা মনের মানুষরা কম
কথা বলেন। পুরুষরা নাকি কম কথা বলেন আর নারীরা নাকি বেশি কথা বলেন ।
বিজ্ঞানীরা বলেন, কথা কম বলা বেশি বলা মানুষের অভ্যাসগত ব্যাপার । সেই
সমাধান না হয় হোল কিন্তু কথার নাকি আবার রকম ফের আছে । কথা বলার মধ্যে নাকি
আর্ট আছে , বাংলায় যাকে বলি নান্দনিকতা । স্থান – কাল – পাত্র বিশেষেও কথা
বলার ধরন ভিন্ন । বাসায় যেভাবে কথা বলা হয় অফিসে বা বাইরে সেভাবে বলা হয়
না । মা - বাবার সাথে বউ - জামাইয়ের সাথে কথা বলার ভিন্নতা আছে । অফিসের
বসের সাথে , কলিগের সাথে , পিয়নের সাথে কথা বলার ভিন্নতা আছে । পরিচিত –
অপরিচিতর সাথে কথা বলার ভিন্নতা আছে । আবার অফিসের ভিতরে ও বাইরে কথা বলার
ভিন্নতা আছে । কথা বলার মধ্যে ফরমাল – ইনফরমালের ব্যাপারও আছে ।
প্রতিনিধিত্ব মুলক বক্তব্যকে ফরমাল বলা হয় । টিভি টকশোতে প্রায়ই বলতে শোনা
যায় “আমি ইনফরমালি বা অফ দা রেকর্ড বলছি” মানে যেই মুহূর্তে ব্যক্তিটি অফ
দা রেকর্ড এ কথা বলবেন সেই মুহূর্তে উনি কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে
প্রতিনিধিত্ব করছেন না । আড্ডাবাজির কথার মধ্যেও পার্থক্য আছে । বন্ধুদের
আড্ডা , সাহিত্য সভার আড্ডা , রাজনৈতিক আড্ডা এক নয় , কথাও এক নয় । একজন
সাধারন মানুষের কথা , একজন কবি-সাহিত্যকের কথা , একজন রাজনীতিবিদের কথাও এক
নয় । শিক্ষকের ক্লাসে ও সেমিনারে ব্যবহারযোগ্য কথাও এক নয় । কথার রকম ফেরে
হয় এক দেশের বুলি আর এক দেশের গালি । প্রেমে আপ্লুত হয়ে কথা আর রাগে
দিশেহারা হয়ে কথাও এক নয় । সাবলীল ভাষায় কথা ও অনুবাদের ভাষায় কথাও দুই রকম
। আদালতে দাড়িয়ে যে কথা বলা হয় রাজনৈতিক বক্তৃতার মঞ্চে সেই কথা বলা যায়
না । মোট কথা , কথা বলতে হয় যে কথা যেখানে প্রযোজ্য । যে কথা যেখানে
প্রযোজ্য নয় সেই কথা সেখানে বললে হয় মূর্খতা , অসভ্যতা , বেয়াদপি,
অবমাননাকর । কোন জায়গায় নির্দিষ্ট দায়িত্ব নিয়ে গেলে দায়িত্বের বাইরে কথা
বলা যায় না । কোন গোষ্ঠী বা শ্রেণীকে প্রতিনিধিত্ব করলে সেই গোষ্ঠী স্বার্থ
বা শ্রেণী স্বার্থের বাইরে কথা বলা যায় না । রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের
মধ্যে ও কর্মীদের মধ্যে কথারও পার্থক্য আছে । প্রাণী জগতের মধ্যে কথা শুধু
মানুষই বলতে পারে । ভিন্ন ভাষা ভাষী মানুষের মধ্যে কথার পার্থক্য আছে ,
কথা বলার ঢং আছে , কিছু নিয়ম কানুনও আছে । কথার সুর আছে তাল আছে । কথার
ভদ্রতাও আছে । সমাজের শ্রেণী ভেদে কথারও পার্থক্য আছে ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সহকারী পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি (অবঃ) সাবেক কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালায়। ম্যানেজার, এক্সটার্নাল এফেয়ার্স এসএসডি-টেকনোলজি কার্নিভাল ইন্টারনেট। সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি, মহানগর কমিটি, ঢাকা ও নির্বাহী সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
-
ভক্তিমুলক গান পরীক্ষিত বালা আমি যেদিন যাব চলে, তোমাদেরি ছাড়িয়া, চন্দনেরি ফোঁটা আমায়, দিও পড়াইয়া।। চন্দনেরি ফোঁটা আমায় দিও প...
-
ভাগবত পুরাণ। বাঙালি তথা বৈষ্ণব হিন্দুদের মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় ধর্মগ্রন্থ। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জীবনী গ্রন্থও বলা যায় এই ভাগবত পুরাণকে। ...
-
উকিল নোটিশ সম্পর্কে জেনে নিন: কোনো ব্যক্তি দ্বারা মৌখিক, আর্থিক অথবা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে উক...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন