![]() |
| পেটে গ্যাস |
তীব্র গ্যাস এবং গ্যাস সংক্রান্ত ব্যথা থেকে আপনি কেবল আপনার খাদ্য তালিকা
পরিবর্তনকরেই মুক্তিপেতে পারেন। মনে রাখবেন যে যদিও বেশি আঁশযুক্ত
খাবারগুলো গ্যাস তৈরি করে কিন্তু এই খাবারগুলোই আবার একটি অস্বাস্থকর খাদ্য
তালিকার জন্যে অপরিহার্য খাবার। ফল এবং শাকসব্জি এবং বিচি জাতীয় খাবার
এবং আস্ত খাদ্যকণা যেগুলো সেগুলো বাদ না দিয়ে বরং পেটে যাতে গ্যাস না হয়
সেজন্যে খাদ্য তালিকার পরিবর্তন করে দেখতে
পারেন l শুকনো সিমের বিচি কিনুন। সারারাত সেগুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
এবার পানি ফেলে দিয়ে পরিস্কার পানিতে বিচিগুলো রান্নার জন্যে চড়িয়ে দিন।
লক্ষ্য রাখবেন বিচিগুলো যেন পুরোপুরি সেদ্ধ হয়। প্রচুর পরিমাণ পানি বা
পানীয় পান করুন। যেসব খাবার বা স্ন্যাকস-কেমিষ্টি করার জন্যেফন্সুকটোজ
(ফলের চিনি) ব্যবহার করা হয় বা সরবিটল(কৃত্তিমচিনি) ব্যবহার করা হয়
সেগুলো পেট ফাঁপার জন্যে দায়ী। আস্তে আস্তে খান, খাবার পুরোপুরি
চর্বনকরুন, এবং বেশি খাওয়া পরিত্যাগ করুন। (মনে রাখবেন যে খাবার পর
পেটভরেছে এইঅনুভূতি আসতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে।) খাবার পর
হালকা হাটা চলার অভ্যাস গড়ে তুলুন। মধ্যম ধরনের শরীর চর্চা হজমি শক্তিকে
বাড়িয়ে তোলে এবং গ্যাস দ্রুত নির্গমনে সহায়ক ভূমিকা রাখে। কার্বোনেটেড
পানীয় (যেমন কোকা কোলা, পেপসি ইত্যাদি), চুইং গাম, এবং স্ট্র দিয়ে সিপ
করে করে পান করার অভ্যাসত্যাগ করুন। এগুলোর প্রত্যেকটিই আপনার পাকþহলিতে
গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। আমার একটি কথা মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করুন,
অসুস্থ বোধ করলে যেটি সবচেয়ে দরকারি সেটি হল ডাক্তারের কাছে যাওয়া।


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন