![]() |
| উচ্চ রক্তচাপ |
১. প্রতিদিন সকালে, ১৫ মিনিটের জন্য সতেজ ভাবে হাঁটুন। এটা বিস্ময়কর যে, আপনার রক্তচাপের পরিবর্তনের জন্য প্রচুর শরীরচর্চার প্রয়োজন নেই। ১৬৮ জন ‘সক্রিয় নয়’ এমন স্বেচ্ছাসেবক যারা উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত, তাদেরকে জাপানী গবেষকগণ যখন একটি হেলথ ক্লাবে প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন সময় ব্যাপী শরীরচর্চার জন্য আট সপ্তাহের জন্য বললেন, তখন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে দেখা গেল যারা সপ্তাহে ৩০ থেকে ৯০ মিনিট শরীরচর্চা করেছেন তাদের তুলনায় সপ্তাহে ৯০ মিনিটের বেশী শরীরচর্চা করেছেন এমন ব্যাক্তিদের উচ্চরক্তচাপ প্রায় একই পরিমাণে নেমে গেছে।
২. প্রতিদিন আপনার ক্যালেন্ডারে ‘ঔষধ গ্রহণ’ লিখে রাখুন। পঁচিশ ভাগ ক্ষেত্রে যখন আপনার ঔষধ গ্রহনের জন্য ব্যবস্থাপত্র নেয়ার পরেও রক্তচাপ কমেনা তখন এর কারন অনুসন্ধান করে দেখা গেছে যে আপনি ঔষধ খেতেই ভুলে গেছেন।
৩. ‘ঘরে বসে রক্তচাপ মাপার যন্ত্র’ কিনুন। American Medical Association পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে যে ডাক্তারের চেম্বারে রক্তচাপ মাপার চেয়ে ঘরে বসে রক্তচাপ মাপলে তুলনামূলক ভাল ফলাফল পাওয়া যায়। ঐ জরিপে দেখা গেছে যে ১৩ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে, যখন কেবল ডাক্তারের চেম্বারে (white-coat hypertension) রক্তচাপ মাপা হয়েছে, সঠিকভাবে তা নির্ণয় হয়নি, এবং ৯ ভাগ ক্ষেত্রে কেবল যারা ডাক্তারের চেম্বারে না যেয়ে বাসাতেই রক্তচাপ মেপেছে তা সঠিকভাবে নির্ণীত হয়নি। এছাড়াও ২০০৪সালে European Society of Hypertension meeting এ উপস্থাপিত একটি জরিপে দেখা গেছে যে যারা কেবলমাত্র ডাক্তারের চেম্বারে রক্তচাপ মাপেন তাদের চেয়ে যারা বাড়িতে বসে নিয়মিত রক্তচাপ মাপেন তাদের রক্তচাপ তুলনামূলক কম থাকে।
৪. সকালে খাবার সময় দুই টেবিলচামচ পরিমাণে তিসির বীজ (linseeds) দধিজাত খাবারের উপর ছড়িয়ে দিন এবং দিনের পরবর্তী অংশে আইসক্রিম, স্যুপ, পাস্তা সস বা অন্য খাবারের সাথে দুই টেবিলচামচ মিশিয়ে দিন। ছোট এক জরিপে দেখা গেছে যে রজোনিবৃত্তি অবস্থায় হৃদরোগের ইতিহাস সম্বলিত মহিলাদের নিয়মিত ৪ টেবিলচামচ পরিমাণ তিসি বীজ খাবারের সাথে গ্রহণে রক্তচাপ (systolic blood pressure) উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে দেয়। তিসি বীজ অনেক পুষ্টিমান এবং আঁশে সমৃদ্ধ।
৫. কফির পরিবর্তে চা পান করুন। একটি অস্ট্রেলিয়ান জরিপে দেখা গেছে যে দৈনিক প্রতি এক কাপ চা পান বাড়িয়ে দিলে systolic রক্তচাপ ২ পয়েন্ট এবং diastolic রক্তচাপ ১ পয়েন্ট কমে যায়। কিন্তু এই উপকার পাওয়া ৪ কাপ পান করা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে।
৬. Dip corn chips in guacamole. কারন? আভকাদো (avocado) ফলের মধ্যে কলা সহ অন্য যেকোনো ফল বা সবজীর তুলনায় অধিক পরিমাণে রক্তচাপ কমানোর উপাদান পটাশিয়াম থাকে। আমাদের দৈনিক প্রায় ৩৫০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম গ্রহন করা উচিত, কিন্তু প্রতি তিন জন মহিলার মধ্যে একজন সাধারণত এর ঠিক অর্ধেক পরিমাণ খাদ্যের সাথে গ্রহণ করে থাকে।
৭. বাদামী চকলেটের প্রতি আগ্রহী হন যখন আপনার রসনা এটি পেতে লালায়িত হয়। দুধের চকোলেটের থেকে ভিন্ন বাদামী চকোলেট flavonoids সমৃদ্ধ যা আপনার ধমনী সমূহকে নমনীয় রাখে, এবং অপেক্ষাকৃত শক্ত রক্তনালীকে বর্ধিত রক্তচাপ থেকে রক্ষা করে। পানামার স্থানীয় উপজাতি অধিবাসী যারা অধিক লবন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া সত্ত্বেও স্বাভাবিক রক্তচাপের অধিকারী হয়, এর কারণ হিসেবে তাদের ব্যপক ভাবে কোকো খাওয়াকে চিহ্নিত করা হয়।
এছাড়াও American Medical Association জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা মূলক জরিপে দেখা যায় যে, বয়স্ক ব্যাক্তি যারা আলাদা ভাবে চিহ্নিত systolic হাইপারটেনশন আক্রান্ত (যখন কেবলমাত্র রক্তচাপ মাত্রার ঊর্ধ্ব সীমা বেশ উচ্চ) তাদের দৈনিক ৮৫ গ্রাম পরিমাণে বাদামী চকোলেট গ্রহণ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। অন্যান্য flavonoids এর উৎসের মধ্যে আছে চা এবং ওয়াইন, এবং এর সাথে অবশ্যই অনেক রকমের ফল এবং শাক সবজি।


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন