রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভবিষ্যদ্বাণীতে কলিযুগের বৈশিষ্ট্য


23845551_1494755020640657_6357713640455151951_o.jpg
ভাগবত পুরাণ। বাঙালি তথা বৈষ্ণব হিন্দুদের মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় ধর্মগ্রন্থ। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জীবনী গ্রন্থও বলা যায় এই ভাগবত পুরাণকে।
বেদ তথা সনাতন ধর্মের মূল শিক্ষাগুলোও এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে সাবলীল ভাবে। তাইতো এতো বেশি জনপ্রিয় এই গ্রন্থটি। আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে রচিত এই গ্রন্থের শেষ অংশে আমরা দেখতে পাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্বাপর যুগের শেষে কলিযুগের আগমনে পৃথিবীর অবস্থা কেমন হবে সে সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। আশ্চর্য হলেও সত্য যে শ্রীকৃষ্ণের সেই সুপ্রাচীন ভবিষ্যদ্বাণী গুলো আজ বাস্তবে অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেছে।
এরকম কিছু ভবিষ্যত্‍বাণী জেনে নেওয়া যাকঃ
১. ধর্ম, সততা, পরিচ্ছন্নতা, সহ্যশক্তি, ক্ষমাশীলতা, আয়ু, শারীরিক ক্ষমতা এবং স্মৃতিশক্তি - সবই কলিযুগে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পাবে।
২. কলিযুগে অর্থই মানুষের একমাত্র ক্ষমতা হিসেবে বিবেচিত হবে। আইন ও সুবিচার পাওয়ার সম্ভাবনা আর্থিক ক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
৩. নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে অর্থ ও যৌনতাই প্রাধান্য পাবে। নারীত্ব ও পুরুষত্ব বলতে একমাত্র যৌন ক্ষমতা বোঝানো হবে।
৪. শুধুমাত্র সাদা সুতো গলায় ঝোলালেই একজন ব্রাহ্মণ হিসেবে পরিচিতি পাবে।
৫. মানুষের মধ্যে ধর্ম কমবে। বদলে বাড়বে ধর্মের প্রতি বাহ্যিক আড়ম্বর। উপার্জনের নিরিখেই মানুষের শিক্ষা-দীক্ষা বিবেচিত হবে। যে ছল-চাতুরি করে অনেক টাকা রোজগার করে, তাকেও সমাজে উচ্চ-পদস্থ হিসেবে দেখা হবে।
৬. শঠতা আর কোনও দোষ হিসেবে দেখা হবে না। টাকা না থাকলে সমাজে কোনও মূল্য থাকবে না। নারী-পুরুষের বিবাহ বন্ধনকে কেবলমাত্র মৌখিক চুক্তি হিসেবে দেখা হবে।
৭. দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের ভিড়ে এই পৃথিবী ভরে উঠবে। ছল-চাতুরির দ্বারা ক্ষমতা দেখিয়ে সমাজের যে কোনও স্তরের মানুষ রাজনৈতিক প্রতিপত্তি লাভ করতে পারে।
৮. খরা, মহামারীর প্রকোপে জর্জরিত হবে সাধারণ মানুষ। তার সঙ্গে বেড়ে চলা করের বোজায় গরীব মানুষের খাবার জোগানোই মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। কখনও অত্যধিক গরম, কখনও অনাবৃষ্টি বা অতিবৃষ্টিতে জীবন বিপন্ন হবে মানুষের।
৯. কলিযুগে নিজের বৃদ্ধ বাবা-মার দায়িত্ব অস্বীকার করবে সন্তান।
১০. সামান্য কয়েকটা টাকা বা খুব ছোটখাটো কারণে মানুষ মানুষের প্রাণ নিতে দ্বিধাবোধ করবে না। সামান্য স্বার্থে ঘা লাগলে, সব পুরনো সম্পর্ক ভুলে মানুষ নিজের অতি আত্মীয়েরও চরম ক্ষতি করতে উদ্যত হবে।

কলিযুগের বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি?
১. মানুষ হবে তমোগুন প্রধান।
২. মানুষের ক্ষুদ্র যশ আশা প্রবল হবে।
৩. স
ও ধর্মপ্রাণ মানুষ হবে ধনহীন।
৪. অসতী রমনীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
৫. নগরী হবে পাষন্ডে দূষিত।
৬. ব্রাহ্মণ হবে কামনাক্ত ও অধিক আহারী।
৭. মানুষ হবে কটুভাষী।
৮. বনিক হবে ছলনাকারী।
৯. তষ্করগন হবে সাহসী।
১০. সন্ন্যাসীগন হবে লোভী।
১১. নারীগন হবে খর্বাকায় ও লজ্জাহীন।
১২. ব্রহ্মচারীগন হবে শুচিহীন।
১৩. তপস্বীগণ নগরে থাকবে।
১৪. সর্বোত্তম স্বামী নির্ধন হলে ভৃত্যগণ ত্যাগ করবে।
১৫. দরিদ্র হইয়াও রমণী আসক্ত হবে।
১৬. সর্বদা ভার্যাসহ মন্ত্রনা করবে।
১৭. শূদ্রগন তপস্বী হবে বেশি।
১৮. অধার্মিকগন তপাসনে বসবে ও ধর্মের কথা বলবে।
১৯. তুচ্ছ ধন নিয়ে বিবাহ করবে।
২০. নিজের প্রিয় প্রান ত্যাগ করে আত্মীয় স্বজনের নাশ ঘটাবে।

কলি যুগের মানুষের যে কি অবস্থা, সেই সম্বন্ধে শ্রীমদ্ভাগবতে বলা হয়েছে-
প্রায়েণাল্পায়ুষঃ সভ্য কলাবস্মিন্ যুগে জনাঃ।
মন্দাঃ সুমন্দমতয়ো মন্দভাগ্য হ্যপদ্রুতাঃ।
অনুবাদঃ
“হে মহাজ্ঞানী! এই কলিযুগের মানুষেরা প্রায় সকলেই অল্পায়ু। তারা কলহপ্রিয়, অলস, মন্দগতি, ভাগ্যহীন এবং সর্বোপরি তারা নিরন্তর রোগ আদির দ্বারা উপদ্রুত।”
তাহলে একটু চিন্তা করে দেখুন, আমাদের সত্যি আয়ু কম, কলহ প্রিয়, ঝগড়া পছন্দ করি! ঝগড়া লাগাতে সেটা আরো ভালো পারি! আমরা সকল কর্মে অলস, মন্দগতি আমাদের, ভাগ্য সত্য খারাপ। লক্ষীদেবীর কৃপা হতে বঞ্চিত আর বিভিন্ন রোগে আমরা জর্জরিত।আর এগুলো হতে বাঁচতে চাইলে, চার সম্প্রদায় ভুক্ত কোন গুরুদেবের চরণাশ্রিত হয়ে, গুরু প্রদত্ত আদেশ, নিয়ম নিষ্ঠা ও সদা হরিনাম করতে হবে। তাতেই সর্ব মঙ্গল হবে।


প্রজি কুমার রায় এম.এ.এল.এল.বি
বীর মুক্তিযোদ্ধা
সহকারী পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি (অবঃ)
সাবেক কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালায়।
ম্যানেজার, এক্সটার্নাল এফেয়ার্স
এসএসডি-টেকনোলজি
কার্নিভাল ইন্টারনেট।
সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি, মহানগর কমিটি, ঢাকা ও
নির্বাহী সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি।


রবিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সুন্দর করে কথা বলার উপায়।


অনেকেই আছেন খুব সুন্দর মনের মানুষ, দেখতেও অনেক সুন্দর কিন্তু তিনি ভাল কথা বললেও যিনি শুনছেন তাঁর রাগ উঠে যায়। নিজেকে নিজে তিনি বোঝাতে পারেন না যে কী করবেন! তাই তাঁর সব কিছুতেই অস্থির লাগে। মন ভাল হলেও তিনি ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিতি পান না। কিংবা সমাজে তার নানা ধরনের জটিলতায় পড়তে হয়। বন্ধু মহলে কেউ তাকে জায়গা দেন না। শুধুমাত্র কিভাবে সুন্দর করে কথা বলতে হয় সেটা না জানার জন্যে। এই কাজ খুব কঠিন কিছু নয়। সুন্দর কথা বলার জন্য নিজের চেষ্টা আর সামান্য কিছু গাইড লাইনই যথেষ্ট।
সুন্দর করে কথা বলা সত্যিই একটা আর্ট। স্মার্টনেস এর প্রথম শর্ত। অনেকেই অনেক ভাবে ট্রাই করে সুন্দর কথা বলার চেষ্টা করেছেন কিন্তু সেই চেষ্টাকে সবাই হাসির খোরাক বানিয়ে ফেলেছেন। তিনি সুন্দর কথা বলতে চেষ্টা করায়ও সমাজে বাঁকা চোখের শিকার। আসুন দেখি খুব স্বাভাবিক কিছু নিয়মে সুন্দর কথা বলার চর্চা করি।
নিজেকে নিয়ে কিছু এনালাইসিস করুন। আপনি কেমন কথা বলছেন? কিভাবে শুরু করছেন? কাকে কী বলছেন ইত্যাদি। এর সাথে আপনার শারীরিক স্ট্রাকচার কতটা বোল্ড নাকি নরমাল নাকি আরো খারাপ? কন্ঠটা কি বেশি উকট নাকি নরমাল নাকি খুবই মিষ্টি? আপনার নলেজ কেমন? এসব এনালাইসিস একটা কাগজে লিখে রাখলেই ভাল। চর্চা করার সময় কাজে আসবে। তবে আপনার স্মৃতিশক্তি ভাল হলে মনে রাখতে পারেন। সুন্দর করে কথা বলার ক্ষেত্রে এই বিষয় মাথায় রাখা জরুরী।
আপনার যা সামর্থ্য আছে তাতেই শুরু করুন। এনালাইসিস করার পর দেখা গেছে আপনার খুবই খারাপ অবস্থা! কিন্তু তাতে কি? আপনি কি শুরু করবেন না? অবশ্যই করবেন। মনে রাখবেন সুন্দর করে কথা বলা পুরটাই চর্চার উপর নির্ভরশীল।
চর্চা শুরুর পর নিচের বিষয়গুলিতে জোর দিন। মনে রাখবেন এর কোনটাই মিস করা যাবে না।

আগে শুনুনঃ
 
কোন একটা আলোচনায় যোগ দিলে আগে শুনুন কে কী বলছে। এটা সব সময় সম্ভব নয়, কারন আপনি যদি সঞ্চালক হন তবে আপনাকেই আগে কিছু বলতে হবে। সেক্ষেত্রে মুল টপিক টি বলে সবার সবিনয় দৃষ্টি আকর্ষন করে শুনতে থাকুন। কিছু লিখে রাখুন। যা লিখবেন তাতে রেফারেন্স সহ লিখবেন- যেমন কে বলেছেন, কি জন্যে বলেছেন ইত্যাদি। কে কিভাবে কথা বলছেন সেটাও খেয়াল করুন। যিনি সুন্দর করে কথা বলছেন তাকে খুব মনোযোগ দিয়ে শুনুন। তিনি হয়ত আপনার থেকে অনেক জানেন, তাতে কি। আপনিও একসময় জানবেন। ফলো করুন আর মনে মনে ভাবুন কিভাবে নিজেকে সেভাবে উপস্থাপন করবেন।
সুস্পষ্ট মতামত প্রয়োগঃ
যথাসময়ে একটি স্পষ্ট মত প্রয়োগ করুন। এমন ভাবে বলবেন না যেন কেউ আপনার কথায় বিব্রত হয়। অন্যের কথার মাঝে কথা বলবেন না। যদি বলতে হয় তবে ভদ্রভাবে বলুন-মাফ করবেন অথবা এক্সকিউজ মী। তারপরে বলুন যে উনার কথাটায় আপনি কি যুক্ত করতে চাচ্ছেন।
আত্মবিশ্বাসের সাথে বলুনঃ
যা বলবেন আত্মবিশ্বাস নিয়েই বলুন। দ্বিধা নিয়ে কিছু বলা উচিত নয়। কেউ যদি প্রশ্ন করে যে কেন আপনি এত আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলছেন, সাথে সাথে সুন্দর ব্যাখ্যা দিন। এবং তাকে এই জন্য একটা ধন্যবাদ জানান।
পরিবেশ পরিস্থিতির দিকে খেয়াল করে বলুনঃ
একটা আলোচনায় অবশ্যই একটা নির্দিষ্ট পরিবেশ পরিস্থিতি থাকে না। চেঞ্জ হয়। কখনো হাসির সময় আসে কখনো খুব সিরিয়াস সময় আসে। অনেক সময় গম্ভীর একটা সিচুয়েশন দেখা যায়। সব সিচুয়েশনে সব কথা মানাবে না। নির্দিষ্ট সময়ে সময়োপযোগী কমেন্ট করুন।
টপিকের দিকে খেয়াল রাখুনঃ
অনেকেই আছেন কথা বলা শুরু করেছেন, মাঝে একটা উদাহরন দিতে গেলেন, উদাহরনের মাঝে সুন্দর একটা গল্প কৌতুক শুরু করে দিলেন। আর আসল টপিক ভুলে গেলেন। গল্প শেষে নির্লজ্জের মতো হাসি দিয়ে বললেন- আমি কোথায় যেন ছিলাম? এসব মানুষের কথায় উপস্থিত সকলের কঠিন বিরক্তি হয়। রাগ হয়। পরের বার আর শুনতে চান না কেউই। সবাই নিশ্চয় তাদের মুল্যবান সময় সেই ব্যাক্তির গল্প শুনতে নষ্ট করবেন না?
তাই টপিকের দিকে মনোযোগ দিন। যদি এমন হয় তবে লিখে রাখুন। কাগজে লিখে তবেই গল্প উদাহরন যা দেবার দিন। এতে আপনার মনে থাকবে আপনি সত্যিই কোথায় ছিলেন। অফ টপিক সব সময় বলা যায় না। সিচুয়েশন দেখে বলুন।
কথার মাঝে দাঁড়ি কমা সেমিকোলনের সময় নিনঃ
কথা শুধু রেলগাড়ির মত বলে যাবেন না। আবার ষ্টেশনে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার মত বিশ্রামও নিবেন না। দাঁড়ি কমা কিংবা বিরাম এর সময় নিন। যাতে বুঝতে সুবিধা হয়।
চলিত ভাষায় বলুনঃ
যে ভাষা সবাই বুঝে সে ভাষায় বলুন। আঞ্চলিক ভাষা পরিহার করুন। ইংরেজী কথায় কথায় না বলাই ভাল। যাঁরা ইংরেজী বলে পন্ডিত সাজতে চান তারা হাসির খোরাক হন। কোন উদ্ধৃতি ইংরেজীতেই যদি হয় সেটা বলা যেতে পারে। তবে ইন্টারন্যাশনাল কনভার্সেশনে তো পুরাটাই ইংরেজীতে বলবেন। সেখানে ভুলেও নিজের ভাষায় বলবেন না। এতে লোকাল লোকজন খুশি হলেও আন্তর্জাতিক সদস্যরা খুব মনে কষ্ট পান। তাই এদিকে খেয়াল রাখবেন। লোকাল ভাষায় কেউ কিছু জানতে চাইলেও ইংরেজীতেই উত্তর দিন। ভাষা যদি চেঞ্জ করতেই হয় তবে অনুমতি নিয়ে নিবেন।
উচ্চারন শুদ্ধ করুনঃ
সঠিক উচ্চারন আবশ্যিক। এর জন্য প্রয়োজন অনুশীলন। সঠিক বাংলা উচ্চারনে কথা বলে আপনি তাক লাগিয়ে দিতে পারেন। আপনার কথা সবাই শুনতেই চাইবে শুধু শুনতেই চাইবে। এর জন্য কিছু কোর্স করাও যেতে পারে।
অংগ ভংগীর ব্যাবহারঃ
কথা বলার সময় সংশ্লিষ্ট অংগভংগী গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। অনেকেই এক হাত নাড়িয়ে কথা বলেন। অনেকেই দু’হাত নাড়িয়ে কথা বলেন। আবার অনেকে হাত না নাড়িয়েই কথা বলেন। সত্যি বলতে কী আমাদের কোন কারিকুলামে কথা বলার উপর কোন পাঠ নেই। এটা ব্যর্থ শিক্ষা নীতি।  কিন্তু আপনি কিছু অনুশীলনের মাধ্যমে এর যথেষ্ট প্রয়োগ করতে পারেন। যখন যা বলবেন তা বুঝাতে যেভাবে অংগ সঞ্চালন দরকার সেটাই করা উচিত। বড় কিছু বুঝাতে দু’হাতে বড় ইঙ্গিত করাই সঠিক। সুন্দর করে কথা বলার ক্ষেত্রে এটাও আবশ্যিক।
কিছু সোর্স অনুসরন করুনঃ
টিভি, রেডিও, মুভি ইত্যাদি থেকে ভাল কিছু পেলে নোট রাখুন। কাজে দেবে। অনুশীলন করুন।



প্রজি কুমার রায় এম.এ.এল.এল.বি
বীর মুক্তিযোদ্ধা
সহকারী পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি (অবঃ)
সাবেক কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালায়।
ম্যানেজার, এক্সটার্নাল এফেয়ার্স
এসএসডি-টেকনোলজি
কার্নিভাল ইন্টারনেট।
সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি, মহানগর কমিটি, ঢাকা ও
নির্বাহী সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি।

সুখী ও অসুখী মানুষের ১৪ টি পার্থক্য জেনে নিন।


সুখী এবং অসুখী মানুষের মধ্যে পার্থক্য কি? একটি পার্থক্য তো সবাই জানে যে সুখী মানুষরা সুখী এবং অসুখী ব্যক্তিরা অসুখী। কিন্তু সুখে থাকা মানুষগুলোর কর্মকাণ্ড কেমন? অসুখী মানুষগুলোর চেয়ে তাদের কাজের পার্থক্য কোথায়?
সুখী এবং অসুথী মানুষের মধ্যে পার্থক্য কি? একটি পার্থক্য তো সবাই জানে যে সুখী মানুষরা সুখী এবং অসুখী ব্যক্তিরা অসুখী। কিন্তু সুখে থাকা মানুষ গুলোর কর্মকাণ্ড কেমন? অসুখী মানুষগুলোর চেয়ে তাদের কাজের পার্থক্য কোথায়? এসকল প্রশ্নের উত্তর মিলবে যদি সুখী এবং অসুখী মানুষের ১৪ টি বিষয় আপনি খেয়াল করেন।
১. ভালোবাসা এবং ভয় সুখী মানুষরা বেশি ভালোবাসে এবং কম ভয় পায়। তাদের মাঝে ভালোবাসা বেশি। সুখে থাকার ব্যাপারটি তাদের ভালোবাসতে শেখায়। অন্যদিকে অসুখী মানুষরা সবকিছু নিয়েই ভয়ে থাকে। এমনকি তারা ভালোবাসতেও ভয় পায়।
২. মেনে নেয়ার ক্ষমতা সুখী মানুষরা সবকিছু হাসি মেনে নেয়। তারা বেশ ধৈর্য্য শীল হয়ে থাকে। যেকোনো বিপদে তারা ভেঙ্গে না পরে ধৈর্য্য ধরে মোকাবেলা করার চেষ্টা করে। কিন্তু অসুখী মানুষদের মাঝে তুলনামূলক ভাবে মেনে নেয়ার ক্ষমতা কম থাকে।
৩. ক্ষমা ক্ষমা মহ গুণ। তবে এটি তুলনামূলকভাবে সুখী মানুষদের মাঝে বেশি দেখা যায়। তারা সুখে থাকে বলেই সবাইকে ক্ষমা করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। একইসঙ্গে তারা ভুলেও যায়। গৌতম বুদ্ধের মতে, ‘নিজের মধ্যে রাগ ধরে রাখা মানে হচ্ছে জ্বলন্ত কয়লা নিজের মাঝে রাখা যা প্রতিনিয়তই আপনাকে পোড়াবে।’ তাই নিজের মাঝে রাগ চেপে রাখলে আপনি কখনোই সুখী হতে পারবেন না।
৪. সন্দেহ ও বিশ্বাস মার্ক টোয়েন এর মতে, ‘যারা তোমাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে তাদের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। হীনমন্য ব্যক্তিরাই এমন করে। অন্যদিকে মহ ব্যক্তিরা আপনাকে মহ হতে শেখায়।’ সুখীরা নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখে এবং চার পাশের সবাইকে বিশ্বাস করে। এটিই তাদের বিশেষ ক্ষমতা। সকলের প্রতি বিশ্বাসই তাদের সুখী রাখে। সন্দেহ প্রবণতা আর আত্মবিশ্বাসের অভাব মানুষের মাঝে অশান্তি সৃষ্টি করে।
৫. জীবনে লক্ষ্য থাকা জীবনের অর্থ খোঁজার মাঝেই প্রকৃত সুখ রয়েছে। জীবনের কোন মানে না থাকলে কিংবা কোন লক্ষ্য না থাকলে কখনোই সুখ আসবে না। ওয়ারেন ডায়ারের মতে, ‘জীবনে নিজের পছন্দমত কিছু করলে আপনার জীবনে প্রাচূর্য নিয়ে আসবে।’ অনেকেই জীবনে অর্থ উপার্জনে সফল হয় কিন্তু জীবনের অর্থ খুঁজে পায়না। ফলে তাদের জীবনের অর্থ বিত্ত থাকা সত্ত্বেও সুখ ধরা দেয় না। তাই সুখী হওয়ার ক্ষেত্রে জীবনের মানে জানা এবং লক্ষ্য থাকা আবশ্যক।
৬. প্রশংসা এবং সমালোচনা করো প্রশংসা করার মাঝেই আনন্দ রয়েছে। আপনি যদি কারো ভালো কাজের প্রশংসা করেন তবে এটি তাকে আরো ভালো কাজ করতে উসাহিত করবে। অপরদিকে তার সমালোচনা করা হলে সে ভালো কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। সুখী মানুষরা সবসময়ই ভালো কাজের প্রশংসা করে। অপরদিকে অসুখী মানুষরা অন্যের সমালোচনায় এবং পরনিন্দায় বেশি ব্যস্ত থাকেন।
৭. সমস্যাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়া সুখী মানুষরা কখনোই সমস্যাকে ভয় পায় না। তারা বরং একে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তারা একে নতুন কিছু উদ্ভাবনের সুযোগ মনে করে।
৮. অন্যের জন্য নিজেকে উসর্গ করা গৌতম বুদ্ধের মতে, কোনো কিছু দেয়ার আগে যিনি দেন তিনি সুখী থাকেন, দেয়ার সময় শান্তিতে থাকেন এবং দেয়ার পর সেটা বহুগুণে বেড়ে যায়।’ সুখী মানুষা নিজের জন্য কিছু করে না। তারা সবসময়ই অন্যের জন্য কাজ করতে চায়। তারা এমন কিছু করতে চায় যা অনেকের মুখে হাসি ফোটাতে পারে। তারা নিজেদের সুখ সবার মাঝে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত থাকে।
৯. প্রাচূর্যতা সুখী মানুষের মন সবসময়ই ভালো চিন্তায় ভরপুর থাকে। তারা সুখ-শান্তির প্রাচূর্যে থাকেন।
১০. বড় কিছুর স্বপ্ন দেখা গোথের মতে, ‘স্বপ্ন না দেখলে বড় হওয়া সম্ভব নয়।’ সুখী মানুষ সবসময়ই বড় কিছুর স্বপ্ন দেখেন। অন্যদিকে অতিরিক্ত বাস্তবাদীতা আপনাকে কখনোই সুখী হতে দেবেনা।
১১. উদারতা ও নিষ্ঠুরতা সুখী মানুষরা স্বাভাবিকভাবেই বেশ উদার হয়ে থাকেন। কিছু কিছু ব্যক্তি হয়তো নিষ্ঠুরতার মাঝেই সাময়িক আনন্দ খুঁজে পায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রকৃত শান্তি তারা খুঁজে পায় না। অন্যকে সাহায্যের মাঝেই প্রকৃত সুখ লুকায়িত।
১২. কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা স্বীকারের মাঝেই অনেকে সুখ খুঁজে পান। সুখী মানুষরা সব সময়ই অন্যের উপকারের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। অপরদিকে অসুখী মানুষরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেনা বরং এর মাঝে স্বার্থ খুঁজে বের করে।
১৩. বর্তমানকে কাজে লাগানো সুখী মানুষরা জানে কিভাবে জীবনকে উপভোগ করতে হবে। তারা ভবিষ্য নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত না থেকে বর্তমান সময় টাকেই কাজে লাগায়।
১৪. ইতিবাচকতা এবং নেতিবাচকতা জীবনে যাই ঘটুক না কেন, সুখী মানুষরা সবসময়ই হাসিমুখে তা মোকাবেলা করে। সবকিছুকে ইতিবাচকভাবে দেখেন।



প্রজি কুমার রায় এম.এ.এল.এল.বি
বীর মুক্তিযোদ্ধা
সহকারী পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি (অবঃ)
সাবেক কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালায়।
ম্যানেজার, এক্সটার্নাল এফেয়ার্স
এসএসডি-টেকনোলজি
কার্নিভাল ইন্টারনেট।
সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি, মহানগর কমিটি, ঢাকা ও
নির্বাহী সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি।


রাগ নিয়ন্ত্রণ।


খুব ছোট্ট এক ছেলে প্রচন্ড রাগী ছিলো। তার বাবা তাকে একটা পেরেক ভর্তি ব্যাগ দিল এবং বললো যে, যতবার তুমি রেগে যাবে ততবার একটা করে পেরেক আমাদের বাগানের কাঠের বেড়াতে লাগিয়ে আসবে। প্রথম দিনেই ছেলেটিকে বাগানে গিয়ে ৩৭ টি পেরেক মারতে হলো। পরের কয়েক সপ্তাহে ছেলেটি তার রাগকে কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আনতে পারলো, তাই প্রতিদিন কাঠে নতুন পেরেকের সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে এলো। সে বুঝতে পারলো হাতুড়ী দিয়ে কাঠের বেড়ায় পেরেক বসানোর চেয়ে তার রাগকে নিয়ন্ত্রন করা অনেক বেশি সহজ। শেষ পর্যন্ত সেই দিনটি এলো যেদিন তাকে একটি পেরেকও মারতে হলো না। সে তার বাবাকে এই কথা জানালো। তারা বাবা তাকে বললো এখন তুমি যেসব দিনে তোমার রাগকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করতে পারবে সেসব দিনে একটি একটি করে পেরেক খুলে ফেলো। অনেক দিন চলে গেল এবং ছেলেটি একদিন তার বাবাকে জানালো যে সব পেরেকই সে খুলে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। তার বাবা এবার তাকে নিয়ে বাগানে গেল এবং কাঠের বেড়াটি দেখিয়ে বললো, তুমি খুব ভাল ভাবে তোমার কাজ সম্পন্ন করেছো, এখন তুমি তোমার রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে পারো কিন্তু দেখো, প্রতিটা কাঠে পেরেকের গর্ত গুলো এখনো রয়ে গিয়েছে। কাঠের বেড়াটি কখনো আগের অবস্থায় ফিরে যাবে না। যখন তুমি কাউকে রেগে গিয়ে কিছু বলো তখন তার মনে ঠিক এমন একটা আচড় পরে যায়। তাই নিজের রাগতে নিয়ন্ত্রন করতে শেখো। মানসিক ক্ষত অনেক সময় শারীরিক ক্ষতের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর।



প্রজি কুমার রায় এম.এ.এল.এল.বি
বীর মুক্তিযোদ্ধা
সহকারী পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি (অবঃ)
সাবেক কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালায়।
ম্যানেজার, এক্সটার্নাল এফেয়ার্স
এসএসডি-টেকনোলজি
কার্নিভাল ইন্টারনেট
সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি, মহানগর কমিটি, ঢাকা ও
নির্বাহী সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি।


মানসিক চাপের সাথে যুদ্ধ করার জন্য বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত ৬ টি উপায়।

দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপ ব্রেনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে দিতে পারে এবং সুস্থ চিন্তাধারা বিকাশে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। একটি সুস্থ মস্তিস্ক-সম্পন্ন জীবনধারার অংশ হিসাবে, মানসিক চাপ সুচারু এবং কার্যকর ভাবে মোকাবেলা করার প্রয়োজন রয়েছে। যখন এটা বুঝতে পারেন যে আপনি মানসিক চাপ আক্রান্ত তখন আপনি কি করতে পারেন? আরও গুরুত্ব দিয়ে বলতে, কোনরূপ মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ অনুভব না করে বিভিন্ন প্রতিকুল অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় সহনশীলতা গড়ে তুলতে আপনি কি করতে পারেন?
৬ টি গবেষণা ভিত্তিক জীবনধারা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান এখানে দেয়া হল যা মানসিক চাপ মোকাবেলায় এবং সহনশীলতা তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারেঃ

১।  শরীরচর্চা
সময়ব্যাপী, ক্রমাগত মানসিক চাপ ধীরে ধীর স্নায়বিক মৃত্যুর
(neuronal death) মাধ্যমে নিউরজেনেসিস (neurogenesis) রোগের উদ্ভব ঘটায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে অ্যারোবিক শরীরচর্চা নতুন স্নায়ুকোষ গঠনে সাহায্য করে। ব্রেনে মানসিক চাপের প্রভাব প্রতিরোধে শরীরচর্চা একটি বেশ ভাল উপায়। মধ্যবয়সী এবং বয়স্ক লোকদের মধ্যে পরিচালিত এক জরিপে এটা দেখা গেছে। ২০১২ সালে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে যারা বেশী শরীরচর্চা করেছে তাদের তুলনায় যারা শরীরচর্চা করেনি তাদের মধ্যে মানসিক চাপ সংক্রান্ত hippocampus বেশী দেখা গেছে।
মানসিক চাপের দ্বারা যা সাধারণত বেশী বাধাগ্রস্ত হয়, সেই ঘুমকে ভাল ভাবে হতে সাহায্য করে নিয়মিত শরীরচর্চা। এছাড়াও, শরীরচর্চা মানসিক চাপ এবং বিষণ্ণতার ভাব কমিয়ে দিয়ে তার বদলে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিতে পারে যা “ভাল অনুভব” করার জন্য দায়ী নিউরোট্রান্সমিটার এন্ডোরফিন (endorphins) এর উপাদন বাড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে সংঘটিত হয়ে থাকে। নাম দেখে যেমনটি বোঝায়, এন্ডোরফিন এর (endogenous এর থেকে endo- এসেছে এবং morphine থেকে –orphin ) বেদনা নাশক প্রতিক্রিয়া আছে যা ভাল অনুভব করার মত একটি অবস্থা সৃষ্টি করে। এটি শরীরচর্চার সময় যেমন দেহে তৈরি হতে পারে তেমনি উত্তেজনা, বেদনা, ভালবাসার প্রকাশ, এবং রাগমোচন (orgasm) এর সময়ও তৈরি হতে পারে।

২।  প্রশমিতকরণ (Relaxation)
মেডিটেশন, টাই চাই, যোগ, বা বেঞ্চের উপর হাঁটা ইত্যাদি যেভাবেই হোক না কেন রিলাক্সেসন এর মাধ্যমে রক্তচাপ কমে, শ্বাসপ্রশ্বাস এবং বিপাক ক্রিয়া ধীর হয়, এবং পেশীর টান প্রশমিত হয়। এটি মানসিক চাপের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া মোকাবেলার একটি ভাল উপায়। ২০০৮ সালে
University of Michigan এর একদল গবেষক প্রাকৃতিক পরিবেশে অথবা শহুরে পরিবেশে হাঁটার ব্যপারে সচেতনতা পুনরুদ্ধার মূলক এক কৌতূহল উদ্দীপক গবেষণা করেছেন। তারা যে সচেতনতা মূলক বিষয়ের উপর দৃষ্টিপাত করেছেন তা ছিল স্বেচ্ছাপ্রণোদিত মনোযোগ আকর্ষণকারী। এ গবেষণাতে অংশগ্রহণকারীরা প্রথমে ৩৫ মিনিটের একটি কাজ করেছেন যা তাদের মনোযোগকে দুর্বল করেছে। এরপর তারা ৫০ মিনিট ধরে শহরে অথবা বড় পার্কে হেটেছিলেন। তাদের ফেরার পরে, যে সকল অংশগ্রহণকারীরা শহরে হেটেছিলেন তাদের তুলনায় যারা পার্কে হেটেছিলেন তারা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত মনোযোগ আকর্ষণকারী একটি পরীক্ষায় অনেক ভাল ফলাফল দেখিয়েছেন।
মজার ব্যাপার হল, দ্বিতীয় একটি গবেষণাতে, ঐ একই রকম প্রকৃতির পুনরুদ্ধার মূলক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে যখন কোন লোক নিছকই ৫০ টি প্রকৃতির ছবির (শহরের কোন ছবি বাদে) দিকে তাকিয়ে ছিলেন। গবেষকগণ তাদের গবেষণার এই ফলাফলকে এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন যে প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে ভিন্নতর, শহুরে পরিবেশে প্রচুর মনোযোগ বিক্ষিপ্তকারী উদ্দীপক থাকে (যেমন, একটি চকচকে দ্রুত ধাবমান গাড়ি) যা অবশ্যই মনোযোগে হস্তক্ষেপ করে (অর্থা, ঐ গাড়ির মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত হয়)। এর ফলাফল স্বরূপ এটা বলা যায়, শহুরে পরিবেশের তুলনায় প্রাকৃতিক পরিবেশ স্বেচ্ছাপ্রণোদিত মনোযোগ আকর্ষণ প্রতিস্থাপন সক্ষমতা বেশী এনে দেয়।

৩. সামাজিকীকরণ (Socialization)
বন্ধু, পরিবার, এবং এমনকি পোষা প্রাণীদের সামাজিক পরিবেশের বলয়ে থাকলেও তা বিশ্বাস, সমর্থন, এবং প্রশমিতকরন বজায় থাকতে সাহায্য করে। বহু ধরণের ঘটনা দেখা গেছে যেখানে সন্তোষজনক সামাজিক সম্পর্ক মানসিক এবং দৈহিক উভয় রকমের স্বাস্থ্যের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষত আমরা জানি যে একাকীত্ব হৃদরোগ জাতীয় অসুস্থতার ঝুঁকি ও মানসিক চাপের মাত্রা বাড়ায় এবং ঘুমের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এটির বিষন্নতার সাথেও যোগসূত্র আছে। একজন মানুষের তার সামাজিক বলয়ের সাথে নিছক যে সংযোগ আছে তার চেয়ে একাকীত্ব একজন মানুষের আরও কত বেশী ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে তার সাথে বেশী সম্পর্কিত। এটি সুপারিশ করে যে কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখা হয়ত মানসিক চাপ সহনীয় রাখার এবং সুস্থ থাকার চাবিকাঠি হয়ে উঠতে পারে।

৪. ক্ষমতায়ন (empowerment)
ক্ষমতায়ন বলতে আসলে কি বোঝায়? এর মানে আমাদের নিজেদের জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ দিকের নিয়ন্ত্রণের অনুভূতি—যার মধ্যে আছে মানসিক স্বাস্থ্য। গবেষণাতে মানসিক ক্ষমতায়ন এবং মানসিক চাপের স্থিতিস্থাপকতার মধ্যে সম্পর্ক দেখা গেছে। কারো নিজের উপর ক্ষমতা আরোপের উপায় খোঁজা ক্রমাগত মানসিক চাপের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হয়ে উঠতে পারে।

৫. রসবোধ (humor)
সহজ জ্ঞানে, আমরা এটা বুঝতে পারি যে একটি চম
কার হাসি মানসিক চাপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বেশ সহায়ক মনে হতে পারে, এবং প্রকৃতপক্ষে গবেষণা এটা সুপারিশ করেছে যে এটি তা করতে পারে। উদাহরন স্বরূপ, Marry Bennett এবং তার সহকর্মীরা এটা দেখিয়েছেন যে, একটি কৌতুকপূর্ণ ভিডিও (একটি পর্যটন বিষয়ক ভিডিও দেখানোর বিপরীতে) দেখার মাধ্যমে একদল স্বাস্থ্যবান মহিলার মধ্যে স্ব-আরোপিত মানসিক চাপ কমতে দেখা গেছে।
২০০৪ সালে পরিচালিত এক নিউরোইমেজিং গবেষণাতে দেখা গেছে যে স্ব-আরোপিত আনন্দ অথবা দুঃখ বোধ ব্রেনের সেই একই অংশকে প্রভাবিত করে যে অংশকে সত্যিকারের আবেগ প্রভাবিত করে। এছাড়াও, কাল্পনিক হাসির বিষয় সাফল্যজনক ভাবে স্ব-আরোপিত দুঃখবোধ এবং কাল্পনিক কান্নার বিষয় স্ব-আরোপিত আনন্দ কমিয়ে দিতে পারে। ১৯৮৯ সালে পরিচালিত অপর একটি ছোট গবেষণাতে দেখা গেছে যে এতে অংশগ্রহণকারীদের ৬০ মিনিট ব্যাপী একটি কমেডি ভিডিও দেখানোতে তাদের কর্টিসোল (cortisol) এবং ইপিনেফ্রাইন (epinephrine) এর মাত্রা কমে গেছে, যা এটা বোঝায় যে হাস্যরস মানসিক চাপের হরমোন জনিত প্রতিক্রিয়ার বিপরীতে ক্রিয়া করতে সহায়ক হতে পারে।
৬. ইতিবাচক চিন্তাভাবনা
মানসিক চাপের উপাদান গুলি সম্পর্কে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা মানসিক চাপকে সহনীয় করতে সাহায্য করতে পারে। উদাহরন স্বরূপ, ২০১০ সালে
Jeremy Jamieson এবং তার সহকর্মীদের দ্বারা হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত ছাত্রদের এ বিষয়টি বিশ্বাস করতে কোচিং দিয়েছিলেন যে পরিক্ষার পূর্বে নার্ভাস এবং/বা উত্তেজিত বোধ করাতে আসলে তাদের ফলাফল ভাল হবে। অন্য ভাবে বলতে, তারা ছাত্রদেরকে একটি ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করতে দিয়ে তাদের মানসিক চাপকে পুনঃমুল্যায়িত করাতে পেরেছিলেন। গ্র্যাজুয়েট স্কুল প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার পূর্বে ছাত্ররা গবেষকগণ প্রদত্ত উপরোক্ত কোচিংটি গ্রহণ করেছিল। তুলানা করে দেখা গেছে যারা ৩ মাস পূর্বের প্র্যাকটিস টেস্ট এবং আসল পরীক্ষা উভয়টির সময়েই উপরোক্ত বিষয়টিতে কোচিং করেছিল তারা যারা কোচিং করেনি তাদের চেয়ে বেশী ভাল স্কোর অর্জন করেছে।
সাধারণভাবে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করা আপনার মন মানসিকতা এবং আনন্দবোধের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং মানসিক চাপের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। Dr. Emmons এটা দেখিয়েছেন যে একটি “gratitude journal” রাখার ব্যবস্থা করলে এবং তাতে আপনি যা কিছু থেকে উপকৃত হয়েছেন তা লিখে রাখলে আনন্দিত হওয়ার মাত্রা এবং ভাল থাকার স্ব-আরোপিত মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়।
এসকল মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের কৌশলগুলির মধ্যে কোনটি আপনার জন্য বেশী উপযোগী হবে? এর কোনটি আপনি অনুসরণ করতে চেষ্টা করবেন?

প্রজি কুমার রায় এম.এ.এল.এল.বি
বীর মুক্তিযোদ্ধা
সহকারী পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি (অবঃ)
সাবেক কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালায়।
ম্যানেজার, এক্সটার্নাল এফেয়ার্স
এসএসডি-টেকনোলজি
কার্নিভাল ইন্টারনেট।
সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি, মহানগর কমিটি, ঢাকা ও
নির্বাহী সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, বাংলাদেশ 
জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি।

বাস্তবতা মেনে চলুন


বাস্তবতা কেন মানুষের মনকে এত বেশি প্রভাবিত করে, বাস্তবতা ও আমাদের মন মানব জীবন হাসি-আনন্দ আর দুঃখ-বেদনা নিয়েই প্রবাহিত হয়। আর তাই মানুষের মন কখনোই একক অবস্থায় থাকেনা বা থাকতে পারেনা। কখনো দেখা যায় সে খুব হাসি আনন্দে মেতে আছে আবার কখনো দেখা যায় সে কষ্টের অতল গহবরে তলিয়ে গেছে। পরিবেশ পরিস্থিতি মানুষের মনকে আনন্দ আর বেদনায় পতিত করে। আর বাস্তবতা বিভিন্ন ধরনের ঘটনার দ্বারা ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতির অবতারনা করে। যার ফলে কেউ কেউ আনন্দে থাকে আবার একই পরিস্থিতিতে কেউ কেউ কষ্ট অনুভব করে।
বাস্তবতা কখনই একসাথে সবার মুখে হাসি তুলে দেয় না, আবার একসাথে সবাইকে কষ্টের মধ্যেও ফেলে না। বাস্তবতার ধর্ম হচ্ছে সে যদি একজনকে আনন্দ দেয় তবে দশজন কে কষ্টের মধ্যে ফেলবে আবার দশজনকে কষ্ট দিলে পাচঁজনকে আনন্দে রাখবে। বাস্তবতা মানুষকে আনন্দ দিয়ে যতটুকু খুশী হয় তারচেয়ে বেশি খুশী হয় মানুষকে কষ্ট দিয়ে। কারন বাস্তবতা মানুষকে কষ্টের মাধ্যমে তাদের আনন্দের মুহূর্তটাকে উপলব্ধি করতে চায়। বাস্তবতা মানুষকে তাদের কষ্টের মধ্যে পতিত করার মাধ্যমে তাদের আনন্দ উপভোগের পরিমানটা বাড়িয়ে দেয়। মানুষ কষ্টে না পরলে তাদের আনন্দের মূল্যটা উপলোব্ধি করতে পারে না। অধিক কষ্টের পর যখন মানব জীবনে সামান্য একটু আনন্দ এসে উপস্থিত হয় তখন সেই সামান্য আনন্দই মানুষের সম্পূর্ন কষ্টটাকে নিমেষেই দূর করে দেয়। আর তখন মনে হয় এই সুখের জন্যই এতদিন অপেক্ষা করে ছিলাম।
একটা পরিবারে একের অধিক মানুষ থাকে। সবার মন মানসিকতা কিন্ত এক নয় আবার সবার চাহিদাও এক না। তাই একটি ঘটনার দ্বারা যেমন সবাই আনন্দিত হতে পারে না ঠিক তেমনি একটি ঘটনার দ্বারা সবাই কষ্টও পায়না। বাস্তবতাই মানুষকে তাদের চিন্তা ধারার মধ্যে পরিবর্তন এনে দেয়। পৃথিবীতে এমন কোন লোক খুজে পাওয়া যাবেনা যার সাথে অন্য আর একজন লোকের মনের দিক থেকে হুবহু মিল আছে। কারন সৃষ্টিকর্তাই মানুষকে ভিন্ন রকম ভাবে তৈরি করেছেন। আর বাস্তবতা শুধু সেই সুযোগ টার সদ্বব্যবহার করে যাচ্ছে।
আমরা সবাই বলে থাকি সময়, সমাজ, পরিবেশ, পরিস্থিতি মানুষের মনকে পরিবর্তন করে। কিন্ত আমরা কখনো কি একবারও ভেবে দেখেছি যে এইসব পরিবর্তন গুলো আসলে কিসের কারনে হচ্ছে?  আসলে আমরা কোন কিছু হলে অন্য কিছুর উপর দোষ চাপাতে বেশি পছন্দ করি। বাস্তবতাকে আমরা কেউ সহজে মেনে নিতে চাই না। কিন্ত এই সব কিছুর পেছনে বাস্তবতাই একমাত্র দায়ী। কারন কোনকিছু পরিবর্তন করার ক্ষমতা কোন মানুষের হাতে নেই।
মানুষ শুধু কোন কিছু চাইতে পারে আর তা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে পারে কিন্তু সে সেটা পাবে কিনা তা কেউ বলতে পারে না। বাস্তবতা যদি তাকে তা না দেয় তবে তা অর্জন করার ক্ষমতা কারোর নেই। আবার বাস্তবতা তাকে যা দিতে চায় তা না নেয়ার ক্ষমতাও কারোর নেই। তবে শর্ত হল সবকিছুর জন্য চেষ্টা করতে হবে। হয়তো বাস্তবতা কোন এক সময় তার প্রতি সদয় হলেও হতে পারে। যার ফলে তার চাওয়াটা পাওয়ায় পরিনত হতে পারে। কোন কিছুর দোহাই দিয়ে চুপচাপ বসে থাকা বা কোন কিছু না করাটা হল একটা মানসিক সমস্যা। আমাদেরকে এর থেকে বাইরে বের হয়ে আসতে হবে। তবেই আমরা বাস্তবতার মোকাবেলা করতে পারব।



প্রজি কুমার রায় এম.এ.এল.এল.বি
বীর মুক্তিযোদ্ধা
সহকারী পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি (অবঃ)
সাবেক কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালায়।
ম্যানেজার, এক্সটার্নাল এফেয়ার্স
এসএসডি-টেকনোলজি
কার্নিভাল ইন্টারনেট।
সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি, মহানগর কমিটি, ঢাকা ও
নির্বাহী সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি।

দেহ ও মনের শক্তি বাড়ান ২০ টি উপায়ে


মনের শক্তি সব থেকে বড় শক্তি। মনোবলের জন্য প্রয়োজন মনের শক্তি তাই মনোবল শুধু মনের শক্তিমত্তা কিংবা শারীরিক কোনো বিষয় নয়। মনোবলের সঙ্গে দেহের আরও অনেক বিষয় জড়িত। এ লেখায় থাকছে দেহ ও মনের শক্তি বাড়ানোর কিছু উপায়। এ বিষয়ের প্রতিবেদনটি টাইমস অব ইন্ডিয়া থেকে নেওয়া।

১. শারীরিক পরীক্ষা করুন
আপনার যদি একজন খেলোয়াড়ের মতো শারীরিক ও মানসিক বল তৈরি করতে হয় তাহলে সবার আগে শারীরিক পরীক্ষা করুন। এতে আপনার যদি কোনো শারীরিক অসুস্থতা কিংবা সমস্যা থাকে তাহলে তা নির্ণয় করে মনোবল বাড়ানোর পথ প্রশস্ত করা সম্ভব হবে।
২. সুষম খাবার খান
খাবারের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আপনার খাবার যদি সুষম না হয় তাহলে তা শারীরিক দুর্বলতা তৈরি করবে। এতে মানসিকভাবেই দুর্বল হয়ে পড়বেন আপনি।
৩. প্রিয় খেলা খেলুন
ঘরের বাইরের যে কোনো খেলাই মনোবল বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত উপকারি। এক্ষেত্রে আপনার প্রিয় কোনো খেলাই বেছে নেওয়া উচিত। এটি আপনাকে আনন্দের সঙ্গে মনোবল বাড়াতে সহায়তা করবে।
৪. ধীরে শুরু করুন
হঠা
করে প্রচণ্ড শারীরিক অনুশীলনের মাধ্যমে মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করা বোকামি। এক্ষেত্রে শারীরিক উপকারের তুলনায় অপকারই বেশি হতে পারে। এ কারণে ধীরে ধীরে এগুতে হবে।
৫. কার্ডিও করুন
শারীরিক অনুশীলনের মধ্যে কার্ডিও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি দেহের হৃ
পিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।  এছাড়া দেহের অন্য অংশের উপকারেও এটি ভূমিকা রাখে। এ ধরনের অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, লাফানো ইত্যাদি।
৬. বিশ্রাম কমান
আপনি যদি উসাইন বোল্টের মতো স্ট্যামিনা চান তাহলে দুটি কাজের মাঝখানের বিশ্রামের সময়টি কমিয়ে আনুন। আপনি যদি মাত্রাতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ করেন তাহলে অবশ্যই বিশ্রাম নেবেন। কিন্তু বিশ্রাম না নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ শারীরিক অনুশীলন করতে পারলে তা আপনার শরীরের যথেষ্ট ক্যালরি ক্ষয় করবে এবং দেহকে সুস্থ রাখবে।
৭. অনেকগুলো ছোট খাবার খান
দেহের এনার্জির ধারা বজায় রাখার জন্য অনেকবার ছোট ছোট খাবার খান। এটি শারীরিক অনুশীলনের সময় খুবই কার্যকর।
৮. বেশি করে পানি পান করুন, পর্যাপ্ত পানি পান করা দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনি যদি পর্যাপ্ত পানি পান না করেন তাহলে তা দেহের নানা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
৯. লবণের মাত্রা বজায় রাখুন আপনার দেহের শারীরিক অনুশীলনের মাত্রা যদি বেশি হয় এবং আপনি যদি যথেষ্ট পরিমাণে ঘামেন তাহলে তাতে দেহের লবণের মাত্রা কমে যেতে পারে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। শারীরিক পরিশ্রমের ফলে দেহের লবণের মাত্রা কমে গেলে তা কিছুটা লবণাক্ত খাবার বা পানীয় খেয়ে দূর করা যায়। তবে দেহের লবণের মাত্রা যদি বেড়ে যায় তাহলেও তা রক্তচাপের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই উভয়ের মাঝে একটি ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত।
১০. কার্বহাইড্রেট খান
আপনার খাবারে যথেষ্ট পরিমাণে কার্বহাইড্রেট রয়েছে কি না, লক্ষ্য রাখুন। এ ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে রুটি, ফলমূল, সবজি, পাস্তা ও দুধ।
১১. নিজের সীমাবদ্ধতা জানুন, প্রত্যেকেরই একটি শারীরিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ সীমাবদ্ধতা ছাপিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন ধৈর্য ধরে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়া। হঠা
করে আপনি এ সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতে পারবেন না।
১২. বাজে অভ্যাস ত্যাগ করুন, বাজে কিংবা ক্ষতিকর খাবারের কোনো অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করুন। মদ্যপান, ধূমপান ইত্যাদি নেশা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
১৩. রেকর্ড রাখুন
প্রত্যেকেরই নিজের শারীরিক অনুশীলন, ওজন ইত্যাদি বিষয়ের একটি রেকর্ড রাখা উচিত। এতে নিজের অগ্রগতি মেপে চলা সম্ভব হয়।
১৪. কার্ডিনাল রুল
যে কোনো ভারি ব্যায়ামের আগে কার্ডিনাল রুল মেনে চলুন। এক্ষেত্রে ওয়ার্ম আপ, স্ট্রেচ ও কুল ডাউন অভ্যাস করুন।
১৫. ওয়েট ট্রেইনার
ওয়েট ট্রেইনার শারীরিক শক্তিমত্তা বাড়ানোর একটি বড় উপায়। কিন্তু এটি করার জন্য ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে হবে। প্রথমে অল্প দিয়ে শুরু করতে হবে এবং তা ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে।
১৬. বিশ্রাম গুরুত্বপূর্ণ
স্ট্যামিনা বাড়ানোর জন্য শারীরিক পরিশ্রমের পাশাপাশি বিশ্রামও প্রয়োজন রয়েছে। সপ্তাহে এক দিন করে বিশ্রাম নেওয়া যেতে পারে।
১৭. ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন
দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নানা উপায়ে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়।  এসব উপায়ের মধ্যে রয়েছে শারীরিক পরিশ্রম ও যথাযথ খাবার খাওয়া।
১৮. স্বাস্থ্যকর নাস্তা খান
সকালের নাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার সারা দিনের উদ্যম যোগায়। সকালের এ নাশতা যেন প্রোটিন সমৃদ্ধ ও পুষ্টিকর হয় এটি লক্ষ্য রাখুন।
১৯. ভালো ফ্যাট খান
ভালো ও মন্দ ফ্যাটের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। মাছের তেল ও তিসির তৈল উপকারী।


প্রজি কুমার রায় এম.এ.এল.এল.বি
বীর মুক্তিযোদ্ধা
সহকারী পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি (অবঃ)
সাবেক কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালায়।
ম্যানেজার, এক্সটার্নাল এফেয়ার্স
এসএসডি-টেকনোলজি
কার্নিভাল ইন্টারনেট।
সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি, মহানগর কমিটি, ঢাকা ও
নির্বাহী সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি।

কিভাবে স্মার্ট হওয়া যায়?

একটি কমন প্রশ্ন, কে না চায় স্মার্ট হতে?
উত্তরঃ সবাই চায়। সত্যিই মনুষ্য প্রকৃতির এই এক খেলা, সবাই স্মার্ট হতে চায়। কেউ পার্লারে সারাদিন ব্যয় করেন, কেউ সেলুনে কিংবা স্পা’তে সারাক্ষন বসে অবশেষে যা নিয়ে ফিরে আসেন তা হল আউটলুকিং। আবারো মনে করিয়ে দেই, আউটলুকিং স্মার্টনেস নয়।
কিভাবে স্মার্ট হওয়া যায় তার প্রথম কিছু ব্যাপার শুনলেই আপনার মনে হবে এতদিন অযথা সময় নষ্ট করে ফেলেছেন। তবে এখনো আপনার সময় পুরো শেষ হয়ে যায় নি। আপনি চাইলে এই শেষ পর্যায়ে এসেও স্মার্ট হয়ে দেখাতে পারেন।
আসুন স্মার্টনেস সম্পর্কে কিছু জেনে নেই। এতক্ষন আমি বলছিলাম যে আপনি যেসব কাজ করে স্মার্ট হতে চেয়েছেন তা হল, আউটলুক পরিবর্তন অর্থা বহিরাবরণ পরিবর্তন। পোশাক আশাক, চেহারা, চুল, নখ, দাঁড়ি গোফ, মাথার ঝুটি, খোঁপা, কোমরের ব্যাস, নিতম্বের ভিজিবিলিটি, টাইট প্যান্ট, হাই হিল জুতো ইত্যাদি। এর সব কিছুই হচ্ছে মানুষের বাহির অংশের পরিবর্তন। আর এই পরিবর্তন কিন্তু স্মার্টনেসের একটি ছোট অংশ।  আউটলুক দেখে যদি ধারনা করে ফেলা যেত সেই ব্যক্তি স্মার্ট তাহলে পৃথিবীর সবাই স্মার্ট হয়ে যেত। এত সহজ তা বলা যাবে না। তবে কঠিন কিছু নয় কিন্তু।
বিখ্যাত কিছু স্মার্ট ব্যক্তির কথা বলি, শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবি ছিলেন এবং সে সময় এ সময়ের সব নারী পুরুষের কাছে একবাক্যে স্মার্ট ছিলেন। কিন্তু তিনি তার আউটলুক নিয়ে আলাদা স্টাইল করেছিলেন। মুখ ভর্তি গোঁফ এযুগে কিংবা সেযুগে ভেবে দেখুন তো এটা দিয়ে স্মার্ট হওয়া যায় কিনা। তবু তিনি স্মার্ট কবি ছিলেন। এরকম সবাই যারা বিখ্যাত কিংবা স্মার্ট ছিলেন তাদের আলাদা স্টাইলও ছিলো।
স্মার্টনেস আর স্টাইল এই দুইয়ের মধ্যে অনেক তফা। স্মার্ট বলতে যা বুঝায় তা হল, বুদ্ধিমান এবং চতুর শ্রেনীর জ্ঞানী মানুষ। সবকিছুতেই কিছু না কিছু ব্যতিক্রম থাকতে পারে। কথায় কাজে, চলাফেরায় কিংবা আচরনে থাকবে আকর্ষন, সে-ই স্মার্ট।  গড়পড়তা যা চলমান তা নিয়ে স্মার্ট হওয়া যায় না। আবার স্টাইল হলো সেই সব ভিজিবল কিংবা অদৃশ্য প্রকাশ যা অন্যকে প্রভাবিত করে ফেলতে পারে। যেমন হাটার স্টাইল, কথার স্টাইল, লেখার স্টাইল, চুলের স্টাইল, নখের স্টাইল, পোশাকের স্টাইল, চিন্তা করার স্টাইল, সমাধান দেয়ার স্টাইল ইত্যাদি। এসব স্টাইল এবং আউটলুকিং মিলে হয় স্মার্টনেস।
আমার মনে হয় এতক্ষনে আপনারা এও বুঝে গেছেন যে স্মার্ট হওয়া অতটা সহজ নয়। একটা স্মার্টবয় অথবা স্মার্ট গার্ল হতে গেলে শ্রম দিয়ে নিজেকে প্রেজেন্ট করতে হয়। ব্র্যান্ডের কিছু জিনিস কিনে স্মার্ট হবার কথা ভুলে যান।
কিভাবে স্মার্ট হওয়া যায়?
আবারো সেই প্রশ্নে ফিরে আসার কারন হল কত দ্রুত এই কাজ শেষ করা যায়? এত কিছু অর্জনের কারনে স্মার্ট হতে অনেকেরই বহুদিন লেগে যেতে পারে। তাই যতটা সম্ভব শর্টকার্ট কিছু পদ্ধতি জেনে রাখা উচি
কথাবলা এবং পোশাক আশাক মানুষের প্রথম প্রকাশ হয় তার কথায়। আমি জানি অনেকেই বলবেন, তার পোশাকে।  দুটোই সঠিক। কারন, আপনি কোথাও গেলেন, আর কোন কথা না বলে চলে আসলেন, তাহলে সেখানকার লোকেরা বলবেন- এক লোক এসেছেন দেখে মনে হয়না ভদ্রলোক।  এর কারন কি? ভদ্র পোশাক ছিল না মানে কি? কোন পোশাক ভদ্র আর কোন পোশাক অভদ্র? অনেকের ক্ষেত্রেই ঘটেছে, কথা বলার পর মনে হয়েছে ক্ষেত। কমেন্টের পর জানা গেল একজন ক্ষেত এসেছেন। মোদ্ধা কথা হল মানুষ মানুষকে কথা এবং পোশাক দুই জিনিস দিয়েই মেপে নেয়। কেউ এর আর ভিতরে যেতে চায় না।
তাই সবার আগে উচিত সুন্দর করে কথা বলা। কথা বলার সময় কোন অপ্রাসংগিক মন্তব্য না করা। কারো নেগেটিভ দিক না বলে পজেটিভ দিক বলা। সম্মান করতে শেখা। বয়সে ছোট হলেও আপনি সম্বোধন করা। নিজের কথা দিয়ে বুঝিয়ে দেয়া যে আপনি একেবারে নিচু লেভেলের নন। পোশাকের ক্ষেত্রে কমন পোশাক পরা। কালার নির্বাচনের ক্ষেত্রে চকচকে কালার পরিহার করা। ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন পোশাকের ব্যবহার করা। তবেই একজন দেখলেই আপনার সম্পর্কে ভাল কিছু না বললেও খারাপ কিছু বলার সাহস পাবে না।
আচার ব্যবহার মানুষের পরিচয় তার আচার ব্যবহারে হয়। ভাল মানুষকে মনে রাখেন সবাই। আচার ব্যবহার একজন মানুষকে সর্বোচ্চ স্মার্ট করে তুলতে পারে। তাই আচার ব্যবহারে অনেক বেশি সচেতন হওয়া উচিত।
খারাপ অভ্যাস অনেকেরই খারাপ কিছু অভ্যাস থাকে। এসবের কারনে তারা নিজেদের অবস্থান হারিয়ে ফেলেন। যেমন- নেশাভান করা, নারীর প্রতি দুর্বলতা, উকট পোশাক আশাক ব্যবহার। অসোভন কিছু করা ইত্যাদি। এসব বাদ দিতে হবে যত দ্রুত পারা যায়। তা না হলে স্মার্ট হতে পারা যায় না।
রুচিশীল কাজ করা-
গান শোনা, বই পড়া, কিংবা ভাল মুভি দেখা, চিত্র কর্ম, সামাজিক সহযোগীতা, স্বেচ্ছাসেবিক ইত্যাদি কর্ম একজন মানুষকে অনেক স্মার্ট করে তুলতে পারে। যে যত বেশি স্মার্ট সে তত বেশি রুচিশীল কাজ করেন।
মেজাজের ভারসাম্যতা-
মানুষের মেজাজ সবসময় এক থাকে না। স্মার্ট ব্যক্তির মেজাজের কন্ট্রোল থাকবে অনেক বেশি। সেজন্য কিছু না কিছু প্রাকটিজ অর্থা
অনুশীলন দরকার। যোগ ব্যায়াম করে দেখতে পারেন। কাজ না হলে মেডিটেশন পদ্ধতির আশ্রয় নিন। রাগ নিয়ন্ত্রন না করা গেলে জীবনে শুধু স্মার্টনেস ই নয় অনেক কিছুই হারাতে হয়।
এবং সত্যবাদী-
স্মার্ট লোকেরা আজকাল এই অংশটি বাদ দিয়েই স্মার্ট বনে যাচ্ছেন। দেখলে হাসি পায়। যারা নির্ভিক তারাই হয় স
এবং সত্যবাদী। যে নিজের অন্যায় “অন্যায়” হিসেবে জানাতে ভয় পায় সে হয় মিথ্যাবাদী। তাই সত্যবাদী হয়ে স্মার্ট হওয়াটা আবশ্যক। একজন মিথ্যাবাদী মানুষ যতই স্মার্টনেস অর্জন করুক না কেন, স্থায়ী হন না বেশি দিন। স মানুষের কথা অনেকদিন মানুষ মনে রাখেন। একজন স্মার্ট মানুষের সংজ্ঞা যেমন কঠিন, তেমনি অল্প কিছু কাজ করে স্মার্ট হতে যাওয়া আরো বেশি কঠিন। তবে অনুশীলন একটি কাজকে অনেক সহজ করে দিতে পারে। মনে রাখবেন, স্মার্টনেস নিয়ে তার সাথে তর্ক করবেন না যে নিজেই স্মার্ট নয়। যেমন আপনার প্রেমিকা/প্রেমিক, সে নিজে স্মার্ট না হলে কোন দিন বোঝাতে যাবেন না স্মার্টনেস কী।
আজকাল অফিসের বস নিজেও জানেন না যে কে স্মার্ট আর কিভাবে স্মার্ট হওয়া যায়। তাই সবসময় সাবধান থেকে নিজে স্মার্ট হয়ে বুঝিয়ে দিন আপনি ব্যতিক্রম, বুদ্ধিদীপ্ত আর সত্যবাদী সদাচারী। সমাজের কাছে বলে বুঝানোর চেয়ে করে দেখানোই স্মার্টনেস।



প্রজি কুমার রায় এম.এ.এল.এল.বি
বীর মুক্তিযোদ্ধা
সহকারী পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি (অবঃ)
সাবেক কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালায়।
ম্যানেজার, এক্সটার্নাল এফেয়ার্স
এসএসডি-টেকনোলজি
কার্নিভাল ইন্টারনেট।
সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি, মহানগর কমিটি, ঢাকা ও
নির্বাহী সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি।

রেস্টুরেন্ট_HD