নন্দলালের মৃত্যু, কবিতা
ঘরের বাইরে যায় না নন্দ
যায় যদি সে মরে!
দেশের সেবা করবে কে ফের
তাই কাটে দিন ঘরে
একদা এলো ডাক পেয়াদা,
হাতে রঙিন চিঠি
নন্দ চিঠি পড়ছে এবং হাসছে মিটিমিটি
নরেন মোদি করছে দাওয়াত,
করবে আহার সাথে
দেশ প্রেমিকের পদক দিবে,
ভোজ খাওয়াবে রাতে
নন্দ ভিষণ আত্মহারা,মনে ভয়ও জাগে
যায় যদি সে মরে তবে সেথা যাওয়ার আগে!!
ক্ষণ ফুরালো,সময় হলো
বিমানশালায় নন্দ
সিট পছন্দ করতে গিয়ে
করলো অনেক দ্বন্দ
দুর্ঘটনা হয় যদিও,যায় যেন সে বেঁচে
এমন একটি সিট নিয়ে তাই,বসলো হেসে-নেচে
উড়লো বিমান পাখির বেশে
মেঘের বাঁধন কেটে
রাগ করে তাই মেঘের নেতা,পাখটা দিলো ফেটে
যাত্রি সবে ছাড়লো বিমান প্যারাসুটে চড়ে
নন্দ বিমান ছাড়তে নারাজ
যায় যদি সে মরে!!
সিট-টা তো তার মরন রোধক,তাই ছাড়েনি বিমান
মরার ভয়ে নন্দলালে'র,লোপ পেয়েছে ধীমান!!
পত্রিকার আজ প্রধান খবর
বৈমানিক দুর্ঘটন
"প্রায় যাত্রী আহত আর,নিহত একজন!"
ছাপলো ছবি নন্দলালের,মৃত অভিহিতে
না মরে তো যায়না থাকা,খোদার ধরনীতে
প্রাণটা যেমন সাথে সাথে
মৃত্যুও ঠিক তাই
যেখানে যাও মরন হতে
কোথাও রেহায় নাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন