![]() |
উচ্চ রক্তচাপ |
আনতে পারে চরম পরিণতি। করোনারি হার্ট ডিজিজ, হার্টফেল, স্ট্রোক, কিডনি অকেজো ইত্যাদি মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে উচ্চ রক্তচাপের ফলে।
- কেন হাই
ব্লাড প্রেসার হয়, হলে করণীয় কি?
অনেক সময় দুশ্চিন্তাজনিত কারণ থেকেও এটি হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের ফলে করোনারি হার্ট ডিজিজ, হার্টফেল, স্ট্রোক, কিডনি অকেজো ইত্যাদি মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়।
লক্ষণ
- মাথাব্যথা, বিশেষ করে পেছনের দিকে ব্যথা। অনেক সময় সকালে ঘুম থেকে উঠার পর ব্যথা অনুভূত হয়। দু-চার ঘণ্টা পর কমে যায়
- মাথা ঘোরা
- বুক ধড়ফড় করা
- মনোযোগের অভাব
- অল্পতে হাঁপিয়ে যাওয়া
- মাংসপেশির দুর্বলতা
- পা ফোলা
- বুকে ব্যথা
- নাক দিয়ে রক্ত পড়া
- ক্লান্তিবোধ
- ঘাড় ব্যথা।
- কারণ
- ধূমপান
- ওজন বেশি
- অলস জীবন-যাপন
- খাবারের সঙ্গে বেশি লবণ গ্রহণ
- নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন
- বংশগত কারণে
- ক্রনিক কিডনি রোগ
- অ্যাড্রেনাল ও থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা।
- পথ্য
- এক মাস সকাল ও সন্ধ্যায় দুই চামচ করে থানকুনি পাতার রস সেবন করুন। অথবা রসুন ১ কোয়া করে দুবেলা ভাতের সঙ্গে ১৫ দিন খান।
- ৪টি তুলসীপাতা ও ২টি নিমপাতা ১ চা চামচ পানিতে চটকিয়ে খেয়ে নিন।
- ১০০ গ্রাম পানিতে মাঝারি আকারের অর্ধেকটা লেবু চিপে দিনে ২-৩ বার পান করতে হবে।
- যা করবেন
- ওজন কামানো
- লবণ ও সোডিয়ামযুক্ত খাদ্য কম গ্রহণ
- হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা ও শারীরিক পরিশ্রম করা
- রেড মিট বর্জন করা।
৩, ৪, ৮, ২৫, ২৮, ৩৬, NP, MF উচ্চ রক্তচাপের জন্য ওপরের প্রতিটি পয়েন্টে ৭০ থেকে ৮০ বা ২ মিনিট একটি সুচালো ভোঁতা কাঠি দ্বারা চাপ প্রয়োগ করতে হয়। প্রতি ১ সেকেন্ডে ১টি করে চাপ দিতে হবে। ৬ ঘণ্টা পর পর দিনে সর্বোচ্চ ৩-৪ বার রিফ্লেক্সোলজি করা যায়। একেবারে খালি পেটে অথবা ভরা পেটে রিফ্লেক্সোলজি করা ঠিক নয়। খাওয়ার আধ ঘণ্টা পরে করা যাবে। রোগের বয়স যত দিন তার ১ : ১০ ভাগ সময়কাল পর্যন্ত থেরাপি করলে রোগ নিরাময় সম্ভব।
টিপস
উচ্চ রক্তচাপ হলে চোখ বন্ধ করে দুই হাতের কনিষ্ঠ আঙুল কানের মধ্যে দিয়ে ২-৩ মিনিট কান ঝাঁকুনি দিন।
ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ মানবদেহে রক্ত সঞ্চালনে চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। মানবদেহে রক্ত চাপের একটি স্বাভাবিক মাত্রা আছে। তার ওপর ভিত্তি করেই উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার ও কম রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেসার পরিমাপ করা হয়। রক্তচাপ একটি সুনির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে থাকে এবং তা দুই ধরনের হয়। ওপরের মাপকে সিস্টলিক রক্তচাপ ও নিম্নের মাপকে ডায়োস্টোলিক রক্তচাপ বলা হয়। সাধারণত মানবদেহে সিস্টলিক রক্তচাপ ১০০ থেকে ১৪০ পর্যন্ত এবং ডায়োস্টোলিক রক্তচাপ ৬০ থেকে ৯০ পর্যন্ত হয়ে থাকে। যদি কারও এর চেয়ে বেশি মাত্রার রক্তচাপ থাকে তবে এই অবস্থাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার বলা হয় এবং যদি কারও এর চেয়ে কম রক্তচাপ থাকে, তবে এই অবস্থাকে কম রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেসার বলা হয়ে থাকে। পানিশূন্যতা দেখা দিলে যেমন অতিরিক্ত ঘাম, ডায়রিয়া বা অত্যধিক বমি হওয়া, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ_ দেহের ভেতরে কোনো কারণে রক্তক্ষরণ হলে যেমন_ রক্তবমি, পায়খানার সঙ্গে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে, শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত বা দুর্ঘটনার ফলে রক্তপাত ঘটলে এবং অপুষ্টিজনিত কারণে লো ব্লাড প্রেসার দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া গর্ভবতী মায়েদের গর্ভের প্রথম ৬ মাস হরমোনের প্রভাবে লো প্রেসার হতে পারে। মাথা ঘোরানো বা মাথা হালকা অনুভূত হওয়া, মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বসা বা শোয়া থেকে হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘোরা বা ভারসাম্যহীনতা, চোখে অন্ধকার দেখা বা সরষে ফুলের মতো দেখা বা চোখে ঝাপসা দেখা, শারীরিক দুর্বলতা এবং মানসিক অবসাদগ্রস্ততা, কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে না পারা, ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া বা হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, খুব বেশি তৃষ্ণা অনুভূত হওয়া, অস্বাভাবিক দ্রুত হৃদকম্পন, নাড়ি বা পালসের গড়ি বেড়ে গেলে বুঝতে হবে আপনি লো ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত হয়েছেন। লো প্রেসার বা নিম্ন রক্তচাপের কারণ ও উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। শরীরে পানিশূন্যতা ও ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার কারণে নিম্ন রক্তচাপ হলে শুধু খাবার স্যালাইন মুখে খেলেই প্রেসার বেড়ে যায়। প্রয়োজনে শিরায় স্যালাইন বা এ জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। রক্তক্ষরণ হলে প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ত সঞ্চালন বা ব্লাড ট্রান্সফিউশন দিতে হবে।
খুব ভালো পোস্ট।
উত্তরমুছুনমস্তিষ্ক মেরুজল টা কি।?
রক্ত
মুছুন