শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০১৭

সময়ের কাজ সময়ে করলে সাফল্য আাসবেই!



প্রথমেই চিন্তা করুন আগামীকাল কোন কাজটি সবচেয়ে বেশি জরুরি। সবার আগে সে কাজের প্রতি জোর দিন। চেষ্টা করুন সময়মতো পারলেও সময়ের আগেই কাজটি শেষ করতে। এছাড়া অন্যান্য কাজকেও অবহেলা করলে চলবে না। বরং আরও বেশি যত্ন নিয়ে কাজগুলো করতে হবে।
* জীবনে অলস সময় নানাভাবে আপনার কাছে ধরা দেবে। ঠিক তেমনি সারাদিনে কিছু অলস সময় আপনাকে হাতছানি দেবে। তার মানে এই নয়, অলস সময়কে হেলাফেলা করে কাটাবেন। অর্থাৎ অলস সময়ের দৈর্ঘ্যকে দীর্ঘায়িত করা আর তাকে নিজের সঙ্গী ভেবে নেওয়া একই কথা। যারা এ বিষয়টিকে প্রশ্রয় দেন, তারাই মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন আজকের কাজ কালকে হলেও করা সম্ভব। কিন্তু কালকের কাজ যে কালকে করা সম্ভব নাও হতে পারে এটি অলস সময় ভাবতে দেয় না।
* তারুণ্যের সবচেয়ে বড় শক্তি গতি। গতিকে কেন্দ্র করে যে কেউ আবর্তন করতে পারে একটি লক্ষ্যের দিকে। মনে রাখতে হবে, সময় ও স্রোত কারও জন্য বসে থাকে না। আপনার অবর্তমানে আরেকজন সময়কে ব্যবহার করতে পারলে আপনারও তা করার ক্ষমতা থাকা উচিত। মনে রাখতে হবে, সময় হলো শিকারি কুকুরের মতো প্রভুভক্ত। তাই তাকে শাসন করাই সাজে, সবসময় আদর করা নয়। সময়কে যদি নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারেন তাহলে সফলতার বদলে ব্যর্থতা দিয়ে ভরে উঠবে জীবন।
* শুধু পরিকল্পনা নয়, চেষ্টা করতে হবে তা বাস্তবায়ন করার। প্রথমদিকে রুটিনমাফিক কাজ করা অসুবিধা হয়ে দাঁড়ায়। পরবর্তীতে সময়কে শাসন করতে হবে নিজের মনমতো।
* খেলাধুলা একজন তরুণকে দিতে পারে নির্ভেজাল আনন্দ। তাই প্রতিদিনের রুটিনে থাকা উচিত খানিকটা খেলাধুলা, খানিকটা আড্ডা কিংবা একটু ইন্টারনেটে দুনিয়াটা দেখে নেওয়া ইত্যাদি। এমনকি বন্ধুদের সঙ্গে মজা করে খেতে গেলেও অনেক কিছু আবিষ্কার করা যায়, যা জীবনের কাজে লাগতে পারে। ব্যবহারিক জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া যায়। * সেকেন্ডের হিসাবে সময়কে হিসাব করাও উচিত। তাই সময় নষ্ট করবেন না। প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান, হিসাব কষে আর জীবনের চাওয়া-পাওয়ার বিন্যাসেই সময়কে খরচ করা উচিত। যারা সময়ের কাজ সময়ে করে তাদের কাছে সফলতা নতজানু স্বীকার করে। বদলে যায় তাদের ভাগ্য।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

রেস্টুরেন্ট_HD