শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৭

ঘুম না আসলে করনীয়।


ঘুম না আসার কারণ খুঁজে বের করুন – ঘুম না আসার পেছনে কোন বিশেষ কারণ আছে কিনা সেটা খুঁজে বের করুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নানামুখী টেনশন ঘুম না আসার পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে থাকে। যতক্ষণ মাথায় টেনসন থাকবে ততক্ষণ ঠিকমতো ঘুমাতে পারবেন না, এটাই স্বাভাবিক। সম্ভব হলে মাথা থেকে এই টেনশন ঝেড়ে ফেলুন। নয়তো নিজে নিজে বা কারও সাহায্য নিয়ে টেনশনের মূল কারণটা সমাধান করার চেষ্টা করুন। যদি অনেক চিন্তা-ভাবনা মাথায় ঘুরতে থাকে তাহলে কোথাও সেটা লিখে ফেলুন। এতে মাথাটা একটু হলেও হালকা হবে। এই পোস্ট টা দেখতে পারেন – আজ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোন কিছুই আর কখনো ভুলবেন না !

গরম পানি দিয়ে গোসল করুন – রাতে ঘুম না আসলে মৃদু গরম পানি দিয়ে গোসল করে ফেলুন। এতে শরীর অনেক হালকা মনে হবে। শরীরের কোষগুলোর মধ্যে শিথিলতা চলে আসবে। আর আশা করা যায় এতে খুব সুন্দর একটা ঘুম দিতে পারবেন আপনি।
পাতলা কাপড় পড়ুন – ঘুমানোর সময় যতটা হালকা হয়ে ঘুমানো যায় ততোটাই ভালো। ভারী-মোটা কাপড় ত্যাগ করে হালকা ট্রাউজার, পাতলা টি-শার্ট পড়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন ।
ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি থেকে দূরে থাকুন – ঘুম না আসলে অনেকে মোবাইলে, কম্পিউটারে সময় কাটায়। কিন্তু এতে করে ঘুম না আসাটাকে আরও দীর্ঘায়িত করে দেয়া হয়। ঘুমানোর অন্তত ১ ঘণ্টা আগে থেকেই ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। মোবাইলে অ্যালার্ম দিলেও সেই মোবাইলকে একেবারে মাথার কাছে রাখবেন না।
সারাদিন কি করলেন ভাবুন – জেগে ওঠার পর ঘুমানোর আগ পর্যন্ত সারাদিন কোথায় কি করলেন সেটা গোড়া থেকে ভাবতে শুরু করুন। আলহামদুলিল্লাহ আমার ঘুমে কোন সমস্যা হয়না, যখন খুশি ঘুমাতে পারি। তবুও কোনদিন ঘুম না আসলে আমি এই পদ্ধতি অনুসরণ করি।

উল্টা গুণুন – ১০০ থেকে ১ অবধি উল্টাপথে গোণা শুরু করুন। ১ পর্যন্ত আসার আগেই হয়তো আপনি ঘুমিয়ে পোড়বেন !
ঘুমানোর জায়গা পরিষ্কার করে নিন – ঘুমানোর জায়গা যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকে ঠিকমতো তাহলে সেটা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। আর ঘুমানোর খাটে এসব ময়লা টয়লা বিরক্তির কারণও হতে পারে। তাই বিছানা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেয়া উচিত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

রেস্টুরেন্ট_HD