সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৭

পেটের পীড়ায় কি করনীয়





পেটের পীড়া

আমরা নানা সময় নানা রকম পেটের সমস্যায় ভুগি, বিশেষ করে বুক জ্বলা, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যা আমাদের অত্যন্ত পরিচিত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনাচরণ এবং খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনায়নের মাধ্যমে এসব সমস্যা অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব। আসুন আলোকপাত করা যাক এমন কিছু বিষয়ের উপর।
যে খাবারে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্যঃ আপনার খাদ্যতালিকায় যুক্ত করুন নানা ধরনের ফল, শাকসবজি, বাদাম ইত্যাদি। এসব খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার বা আঁশ, যা হজমে সাহায্য করে এবং পেট পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে। সেইসাথে পান করুন প্রচুর পরিমানে বিশুদ্ধ পানি, ফলের জুস ইত্যাদি।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুনঃ দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং পেটের চর্বি কমানোর চেষ্টা করুন, এতে আপনার বুকজ্বলা, পেটে গ্যাস জমা ইত্যাদি সমস্যা কম হবে।
একবারে বেশি খাবার খাবেন নাঃ বদহজম, পেটফাঁপা, বুকজ্বলা ইত্যাদি সমস্যা কমাতে একবারে বেশি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অল্প করে খান, প্রয়োজনে বারবার খান, এতে হজম হবে সহজেই।
শরীরটাকে সচল রাখুনঃ হালকা শারীরিক ব্যায়াম, নিয়মিত হাঁটাচলা ইত্যাদি আপনার হজম প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করতে পারে, ফলে এর মাধ্যমে দূর হতে পারে পেটের ছোটখাটো সমস্যা।
প্রোবায়টিক ওষুধ খেতে পারেনঃ বর্তমানে বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান প্রোবায়টিক ওষুধ বাজারজাত করছে, ডাক্তারের পরামর্ষ অনুযায়ী এসব ওষুধ খেতে পারেন। এটি আপনার অন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে এবং পেটের নানা সমস্যা দূর করতে সহায়তা করবে। এছাড়া বিভিন্ন খাবার যেমন দই, ইয়োগার্ট ইত্যাদি থেকে আমরা প্রাকৃতিক উপায়ে প্রোবায়টিক পেতে পারি, তাই মাঝেমাঝে এসব খাবার খাওয়া উত্তম।
মানসিক চাপ মুক্ত থাকার চেষ্টা করুনঃ মানসিক চাপ হজমকে ব্যাহত করে ফলে বদহজম, পেটফাঁপা সহ নানারকম পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই মানসিক চাপ মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
নিজের অনুপযোগী খাবার সনাক্ত করুনঃ বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন খাবারের প্রতি সংবেদনশীল। যেমন টক জাতিও খাবার কারোর পেটের পীড়া তৈরি করে আবার কারোর ক্ষেত্রে দুধ জাতিও খাবার। আপনি কোন খাবারের প্রতি সংবেদনশীল অর্থাৎ কোন খাবার আপনার পেটের পীড়া তৈরি করে তা সনাক্ত করার চেষ্টা করুন এবং প্রয়োজনে তা বর্জন করুন।
ধূমপান এবং বুক জ্বলাঃ অনেক ক্ষেত্রে ধূমপান বুক জ্বলার কারন হতে পারে, এছাড়া এটি পাকস্থলীর আলসার এবং পরিপাকতন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ধূমপান ত্যাগ করা উত্তম।
ধীরেধীরে খাবার খানঃ খাবার খাওয়ার সময় তাড়াহুড়া করবেন না, ধীরেধীরে খান এবং খাবার গেলার আগে তা উত্তমরূপে চিবিয়ে নিন। এটি হজমের সহায়ক, এছাড়া খাবার সময় এবং পান করার সময় তাড়াহুড়া করলে খাবারের সাথে অধিক পরিমানে বাতাস পাকস্থলিতে প্রবেশ করে যা পেট ফাঁপার কারন হতে পারে।
অতিরিক্ত খাবার লবন পরিহার করুনঃ খাবার লবন অনেক সময় পেট ফাঁপার কারন হতে পারে, এছাড়া অতিরিক্ত খাবার লবন গ্রহন করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত জরুরীঃ রান্না ঘর, খাবার টেবিল, থালা-বাসন ইত্যাদি পরিস্কার রাখুন এবং খাবার খাওয়ার আগে হাত পরিস্কার করুন।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

রেস্টুরেন্ট_HD